কৌতুক- এক : যম এলে হেঁটেই শ্মশানে যাবোকৃপণ বাবার কৃপণ ছেলে। বাবা মৃত্যুশয্যায়। ছেলেটি ড্রইংরুমে বন্ধুদের সঙ্গে তার পিতার সংকীর্ণ অবস্থা নিয়ে আলাপ করছে।ছেলে : বাবা তো বোধ হয় আর বাঁচবেন না। মরলে কী করবো?১ম বন্ধু : কেন, সবাই যা করে! লরিতে উঠিয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাবি।ছেলে : লরি-ফুল, সে তো অনেক খরচের ব্যাপার!২য় বন্ধু : তাহলে পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে কাঁধে করে নিয়ে যাবি।ছেলে : তাতেও খরচ আছে। পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে দাওয়াত করে খাওয়াতে হবে।
Advertisement
> আরও পড়ুন- আজকের কৌতুক : খবর শুনেই তেরোতলা থেকে লাফ
এ কথা শুনে কৃপণ বাবা পাশের রুম থেকে কোঁকাতে কোঁকাতে বললেন-বাবা : অতো ভাবিস না রে বাবা। যম এসেছে টের পেলে আমি হেঁটেই শ্মশানে চলে যাবো।
****
Advertisement
কৌতুক- দুই : আজ কিছু সত্য বলে যেতে চাইমৃত্যুর আগ মুহূর্তে রবি সাহেব তার স্ত্রীকে বলছেন-রবি : ওগো শুনছো, আমি তোমার কাছে আজ কিছু সত্য বলে যেতে চাই।স্ত্রী : বলো।রবি : তোমার সঙ্গে মিথ্যা বলতে আমার একদমই ভালো লাগত না। তবুও কখনো কখনো মিথ্যা বলতে হয়েছে।স্ত্রী : তাতে কী হয়েছে? এখন কী বলবে বলো।রবি : খাটের নিচে একটা কাঠের বাক্স দেখতে পাবে। যখনই আমি তোমার সঙ্গে কোনো প্রতারণা করেছি, তখনই আমি ওই বাক্সে একটা করে ডিম রেখেছি। যাতে মৃত্যুর আগে তোমার কাছে আমার মিথ্যার হিসাব দিয়ে যেতে পারি।
> আরও পড়ুন- আজকের কৌতুক : খুব রোমান্টিক পরিবেশ
রবি সাহেবের স্ত্রী খাটের নিচ থেকে বাক্স বের করলেন। দেখলেন, বাক্সের ভেতর একটা কাগজের প্যাকেট আর তিনটা ডিম।স্ত্রী : প্রিয়তম! তুমি সারা জীবনে আমার সঙ্গে মাত্র তিন বার মিথ্যা বলেছ? যাও তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু এই কাগজের প্যাকেটে কী?রবি : কাগজের প্যাকেটের ভেতর পাঁচ হাজার টাকা আছে। যখনই ডিমের সংখ্যা একহালির বেশি হয়েছিল, আমি সেগুলো বিক্রি করেছি!
এসইউ/এমএস
Advertisement