পশ্চিমবঙ্গের মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারে শেষে রোগীর পেট থেকে বের করেছে চামচ, বস্তা সেলাইয়ের সুচ এবং একটি রডের টুকরো।
Advertisement
রোগীর নাম তরুণ রবিদাস। বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর এলাকায় বাড়ি। শুক্রবার সকালে তার পেট থেকেই বের করা হয় এসব সামগ্রী।
তরুন রবিদাসের এ অস্ত্রোপচার করেন পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দল। ওই দলের নেতৃত্ব দেন- শল্য চিকিৎসক অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন- চিকিৎসক সন্দীপন দাস, অতীশ হালদার, প্রীতম সরকার ও অভিষেক মণ্ডল। রোগী সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, তরুণ রবিদাস একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। তার পেট থেকে বের করা হয়েছে একটা গোটা চামচ, একটা ভাঙা চামচ, সুচ এবং একটি লোহার রডের টুকরো। পাকস্থলী এবং মলদ্বার থেকে বের করা হয় জিনিসগুলো।
Advertisement
ভাঙা চামচের বাকি অংশ রোগীর পায়ুদ্বারে এখনও আটকে রয়েছে। সেটিকে অস্ত্রোপচার ছাড়াই বের করার চেষ্টা চলছে।
তবে এতগুলি জিনিস পেটের ভেতরে থাকা সত্ত্বেও রোগী কীভাবে চলাফেরা করছিলেন সেটাই অবাকের বিষয়।
মালদার হবিবপুর থানার আগ্রা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামে তরুন তার দিদির বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখানেই তার রক্ত বমি শুরু হয় ও শরীর খারাপ লাগতে থাকে। বুধবার তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক্সরে করলে বিষয়টি ধরা পড়ে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।
এমআরএম
Advertisement