দেশজুড়ে

টানা বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা বর্ষণে শহর এলাকাসহ রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট লোকজনের মাঝে ব্যাপক ঝুঁকি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এছাড়া টানা বর্ষণে লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে প্রশাসনের উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষে থেকে লোকজনকে সতর্ক করে দিয়ে শহরে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে রাঙামাটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফিউজ্জামান জানান, টানা বর্ষণে শহর এলাকার কলেজগেট, রিজার্ভবাজার, পাবলিক হেল্থ, তবলছড়িসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য তৎপর প্রশাসন। যেসব স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে। রোববার সকালে শহরের কলেজগেট শহীদ মিনার এলাকায় পাহাড় ধস হওয়ায় সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে পাশের আমানতবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।   খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ছাড়াও রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাহাড় ধেকে মাটি ধসে সড়কের ওপর পড়ছে। এতে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে ওই সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার সকালে রাঙামাটি সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানে একটি বড় পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে কয়েকটি বাড়িঘর বিধ্বস্ত ও মাটি চাপা পড়ে। শহরের পাবলিক হেলথ এলাকায় পাহাড় ধসে একটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে মাটি চাপা পড়েছে। তবে ওই সব ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এছাড়া শহরের তবলছড়ি, রিজার্ভবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস ও বড় বড় গাছ হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি স্থান ও সড়কে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে পানি নামায় জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়াবাজারসহ ওই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েকশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া বাঘাইছড়ি ও বরকল উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে টানা বর্ষণে দ্রুত বাড়ছে কাপ্তাই লেকে পানি।সুশীল প্রসাদ চাকমা/এআরএ/পিআর

Advertisement