চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে বাগেরহাটে ৪৫ হেক্টর জমির পানবরজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানান জেলার পান চাষিরা। বাগেরহাট জেলা সদরের যাত্রপুর, বারুইপাড়া, কাড়াপাড়া, বিষ্ণুপুর, ষাটগুম্বুজ ছাড়াও বাগেরহাটের কচুয়া, চিতলমারী, ফকিরহাট উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের পানবরজ জলাবদ্ধতার কারণে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে পানচাষিরা। গত তিন সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণে পান গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছ মারা যাওয়া ও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। বাগেরহাট সদরের যাত্রপুরের পানচাষি আইয়ুব আলী জানান, টানা বর্ষণে তার এলাকার অসংখ্য পানচাষির পানবরজে পানি উঠে গাছ মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় পানবরজ থেকে বৃষ্টির পানি অপসারণ করা না গেলে সব হারিয়ে যাত্রপুর ইউনিয়নের পানচাষিরা সর্বশান্ত হয়ে পড়বে। বাগেরহাট ষাটগুম্বুজ ইউনিয়নের পানচাষি কবির শেখ জানান, গত রোজায় টানা বর্ষণে পানবরজে পানি উঠে বরজে থাকা সব পান গাছ মারা গেছে। এনজিও থেকে টাকা উঠিয়ে এবার পানবরজ করেছিলাম পানও খুব ভালো হয়েছিল সব আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিল টানা বর্ষণ। বাগেরহাটের কাড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম জানান, তার এলাকার ৩৫/৩ পোল্ডারের জিপতলা খালে ওয়াপদার ছোট একটি গেট রয়েছে। ওই গেটটি দিয়েই ৮/১০টি গ্রামের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। আর এ কারণে কাড়াপাড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার পানি নামতে না পারায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানের বরজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ী) উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, চলতি জুলাই মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ যে টানা বৃষ্টি হয়েছে তাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় কৃষি বিভাগের জড়িপে জেলার ৪৫ হেক্টর পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে টাকার পরিমাণে জেলার পানচাষিরা কি পরিমাণ ক্ষতির শিকার হয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি। শওকত আলী বাবু/এমএএস/আরআইপি
Advertisement