আইন-আদালত

বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ১৪ মে

আইনজীবীদের সনদদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাধারণ নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৪ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কাছের কেন্দ্র (সুপ্রিম কোর্ট) এবং দেশের বিভিন্ন জেলার (বার) সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র এবং বাজিতপুরসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আইনজীবীদের সনদদানকারী ও আইনজীবীদের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। প্রতি তিন বছর অন্তর বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সবমিলিয়ে ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বাকি ১৪ জন আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

Advertisement

১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৪ জন সদস্যের মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের ৭টি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে সাতজন নির্বাচিত হবেন।

দেশের ৭টি অঞ্চল হলো-১. সাবেক বৃহত্তর ঢাকা জেলার সকল আইনজীবী সমিতি২. বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলার আইনজীবী সমিতি৩. বৃহত্তর চট্রগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার আইনজীবী সমিতি৪. বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি৫. বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি৬. বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি এবং৭. বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার আইনজীবী সমিতি।

তফসিল অনুযায়ী ৩ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। আগামী ১৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায় মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৮এপ্রিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনসংক্রান্ত আপত্তি শুনানির জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হলেন- বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। বাকি দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও অ্যাডভোকেট মো. ওজিউল্ল্যহ।

Advertisement

এফএইচ/বিএ