জাতীয়

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে ১৫০ কোটি টাকার গরমিল

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে মাত্র এক অর্থবছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকারও বেশি গরমিলের সন্ধান পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। অডিট আপত্তিতে ওঠা এই টাকার সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৮১তম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, মো. আফসারুল আমীন, মো. শামসুল হক টুকু, রেবেকা মমিন এবং বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন।

Advertisement

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রফেশনাল ফির হিসাবের উপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০০৪-২০১৩ এর অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নিয়ে আলোচনা হয়।

জানা যায়, ওই অর্থবছরে অনুমোদনহীন জনবলের বেতন-ভাতা বাবদ প্রফেশনাল ফি হতে ৪৮ কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ করা হয়। আর পরামর্শক, প্রিন্টিং ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, গাড়ি মেরামতকারী এবং ইন্টেরিয়ার প্রতিষ্ঠানের বিল হতে ভ্যাট ও আয়কর কম কর্তন করায় সরকারের ৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ওই অর্থবছরে গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়বাবদ ২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা গাড়ি মেরামতকারীর পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট গাড়িচালকের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে অডিট আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Advertisement

এছাড়া অর্গানোগ্রামবহির্ভূত অনিয়মিতভাবে প্রফেশনাল ফি হতে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি মোটরযান ক্রয় করা হয়। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়া হয়নি।

প্রফেশনাল ফির অর্থের দ্বারা অফিস ভবন নির্মাণ, প্যাসেঞ্জার লিফট ক্রয় এবং জেনারেটর স্থাপনবাবদ অনিয়মিতভাবে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় করে অধিদফতরটি।

প্রফেশনাল ফি হতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে হাইওয়ে স্টেশন নির্মাণবাবদ এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতিকে অনিয়মের ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা দেয়া হয়।

প্রয়োজনীয় দস্তাবেজ উপস্থাপন করে এসব অডিট আপত্তি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

Advertisement

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, অডিট অফিস, এলজিইডি এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/জেডএ/জেআইএম