অপহরণের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মির্জাগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুবী বেগম। মেয়েটি স্কুল এলাকার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা তেলিপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী মঙ্গলু মাহমুদের মেয়ে। এ ঘটনায় ডোমার থানায় অপহরণকারীদের নামে লিখিত অভিযোগ করলেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে (ওসি) মামলাটি রেকড না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে অপহরণকারীরা মেয়েটির মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করে আসছে। এ টাকা না পেলে মেয়েটিকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। অভিযোগ মতে, স্কুলছাত্রীর বাবার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদের সূত্র ধরে প্রতিবেশী কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে ইউপি সদস্য রুবী বেগমকে অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় গত বুধবার রাতে অপহরণ করা হয় রুবীকে। ঘটনার পরদিন থেকে মুক্তিপণ হিসেবে অপহরণকারীরা রুবীর বাবার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পেলে তারা রুবীকে হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে অসহায় বাবা তার মেয়ের জীবন বাঁচাতে এবং উদ্ধারে স্থানীয় প্রভাবশালীদের শরণাপন্ন হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে রুবীর বাবা শুক্রবার ২৪ জুলাই রাতে ডোমার থানায় অপহরণকারীদের নামে একটি এজাহার দাখিল করেন। এ ঘটনায় কেতকীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেউ বলে ঘটনাটি প্রেম ঘটিত। এ ব্যাপারে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন অপহরণের লিখিত এজাহারের অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন বিষয়টি দেখা হবে। জাহেদুল ইসলাম/ এমএএস/পিআর
Advertisement