অর্থনীতি

রড-সিমেন্টের দাম না কমলে নির্মাণ কাজ বন্ধের ঘোষণা

সম্প্রতি রড সিমেন্টের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বাসি) সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাসির সভাপতি মুনীর উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, সম্প্রতি এম এস রড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাভাবিকভাবে রডের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এর কারণ হিসেবে তারা কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খরচ, ডলারের দাম, ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি এবং চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসের বিলম্বের কারণকে দায়ী করছেন। তবে এসব কারণে রডের দাম মাত্র ৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ বাড়ার কথা, ৫০ শতাংশ নয়। নির্মাণ কাজে ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ রডের কাজ। এম এস রডসহ সব নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য হিসেব করে টেন্ডারপ্রতি আইটেমে দর উল্লেখ করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে থাকি। সরকারি সব প্রতিষ্ঠান ফিক্সড রেটে কার্যাদেশ প্রদান করে। তাই নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেলেও সরকার থেকে কোনো প্রকার ভর্তুকি দেয়া হয় না। হঠাৎ করে এই মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের পক্ষে কাজ চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। অতি দ্রুত পিপিআর প্রাইস অ্যাডজাসমেন্ট ক্লজ-২৭.৯ (টেন্ডারে বাজার দর অনুযায়ী রডের দাম পরিশোধের ঘোষণা) করা না হলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে আমরা চলমান সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।

তিনি আরও বলেন, অতীতে কয়েকবার সিন্ডিকেট করে রডের দাম বৃদ্ধি করা হলেও সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হয়েছে। এবারও সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে বলে আমরা আশা করছি। এ বিষয়টি অবগত করে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান মুনীর উদ্দিন।

Advertisement

এ সময় বাসির সদস্য ও স্টারলাইট সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক সফিকুল হক তালুকদার বলেন, রডের পাশাপাশি গত ২৫ দিনে প্রতিব্যাগ সিমেন্টের দাম ৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব বৃদ্ধির কারণে নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলছে এবং নির্মাণ কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ৭০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এআর/এনএফ/জেআইএম