সিন্ডিকেটের কারণে লাগামহীনভাবে বাড়ছে রডের মূল্য। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিমেন্টও। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে নির্মাণশিল্প। লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)।
Advertisement
অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও চক্রান্তের কারণে নির্মাণশিল্পে সৃষ্ট স্থবিরতা সম্পর্কে জানাতে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ঠিকাদারদের সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএসিআই সভাপতি প্রকৌশলী মুনীর উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ইস্পাত শিল্পের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মূল্য বাড়াচ্ছে। যার বড় অংশ উৎপাদক অর্থাৎ মিলমালিক। তারা গত দু-তিন মাসে টনপ্রতি রডের মূল্য বাড়িয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে অতি মুনাফার আসায় মূল্য বাড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে সঙ্কটে পড়বে নির্মাণশিল্প। অতিরিক্ত ব্যয় বাড়ায় বন্ধ হয়ে যাবে সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম। সরকার এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে লোকসান পুষিয়ে নিতে ভর্তুকি দিতে হবে।
Advertisement
মুনীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে সরকারের কাছে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাব। একই সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত কয়েক মাস ধরে ইস্পাতশিল্পের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রডের মূল্য বাড়াচ্ছে। তাদের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিমেন্ট উৎপাদনকারীরাও। নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে সরকারের গৃহীত একদরের প্রকল্পে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সদস্যরা লোকসান গুণছে।
পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। দেশের সবপর্যায়ে অবকাঠামোর কাজ মন্থর তথা প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। এসব বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল দফতরে কয়েক দফা অবগত করা হলেও দৃশত কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
ফলে বাধ্য হয়ে বিএসিআই নির্মাণশিল্পের এ ক্রান্তিলগ্নে সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ২৯ মার্চ দুপুর ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
এসআই/এএইচ/বিএ