লাইফস্টাইল

যেসব খাবার ফ্রিজে রাখবেন না

খাবার ভালো রাখতে আমরা ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকি। দীর্ঘদিন খাবার সংরক্ষণেও কাজে লাগে ফ্রিজ। কিন্তু ভালো রাখতে গিয়ে সব ধরনের খাবার ফ্রিজে রাখা ঠিক না। কারণ কিছু খাবার রয়েছে যা ফ্রিজে রাখলে স্বাদ এবং পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে জন্ম নেয় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। তাই ফ্রিজে খাবার আগে দেখে নিন কোন খাবারগুলো ফ্রিজে রাখবেন না-

Advertisement

তরমুজ: ফ্রিজে সাধারণত ফল ভালো থাকে না। ফ্রিজের ঠান্ডায় তরমুজে ‘চিল ইনজুরি’ হয়। এর ফলে তরমুজ তার স্বাদ ও রং হারিয়ে ফেলে। ‘চিল ইনজুরি’-তে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। আর এই অবস্থায় ওই তরমুজ খাওয়া পেটের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর।

পাউরুটি: ঠান্ডায় থাকা পাউরুটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বের করলে খুব দ্রুত তা শুকোতে শুরু করে। এর ফলে পাউরুটি ঝুরঝুরে হয়ে যায়। তাই পাউরুটিকে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। তিন থেকে চার দিন ধরে যতটা পাউরুটি খাবেন সেটা বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।

কফি: ফ্রিজে কফি রাখলে তা খুব দ্রুত গন্ধ হারিয়ে ফেলে। এমনকি ফ্রিজে থাকা অন্য সব জিনিসের গন্ধ কফির মধ্যে ঢুকে যায়। এমনকী, অত্যাধিক ঠান্ডা কফিকে ড্যাম্প করে দেয়।

Advertisement

কলা: ফ্রিজে রাখলে কলা একদিকে যেমন তার পরিপক্কতা হারায়, সেইসঙ্গে স্বাভাবিক গুণাবলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ কলা নিজেই একটা ঠান্ডা ফল। সেইসঙ্গে বাড়তি ঠান্ডায় রাখলে কলার মধ্যে থাকা পটাসিয়াম কনটেন্টও কমে যায়।

টমেটো: অত্যাধিক ঠান্ডায় টমেটোর স্বাভাবিক গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ‘ফাঙ্গাল ইনফেকশন’ হয়। এরপর ওই টমেটো খেলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

রসুন: গোটা রসুন ফ্রিজে রাখা অস্বাস্থ্যকর। রসুনের কোয়া অত্যাধিক ঠান্ডায় শুকোতে থাকে। এর ভিতরে যে রস থাকে তা শুকিয়ে যায়। সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা গোটা রসুন ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে, রসুনের পেস্ট ১০ থেকে ১৫ দিন ফ্রিজে স্টোর করা যায়।

আলু: ফ্রিজে রাখলে একদিকে যেমন আলুর গন্ধ চলে যায়। তেমনি আলুর মধ্যে থাকা শর্করা দ্রুত বাড়তে থাকে। আলু ভাল করে রাখতে কাগজের প্যাকেটে ঘরের স্বাভাবিক টেম্পারেচারে রাখুন।

Advertisement

মধু: ফ্রিজে রাখলে মধুর মধ্যে একটা ‘ক্রিস্টাল’ লুক হয়। যদি, মধু ভালোভাবে রাখতে চান, তাহলে কাঁচের শিশিতে ঘরের স্বাভাবিক টেম্পারেচারে রাখুন। এতে মধু ফ্রেশও থাকে এবং অনেকদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক গুণ বজায় থাকে। মধু ‘ক্রিস্টাল’-এর আকার ধারণ করলে গুণ নষ্ট হয়ে যায়।

এইচএন/জেআইএম