পরকালের ক্ষতি থেকে ওই সব ব্যক্তিরাই মুক্ত যারা আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা এবং বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে সৎ কাজ করে এবং অন্যকেও বিশুদ্ধ বিশ্বাস ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়। সুরা আসর-এর শেষ আয়াতে আল্লাহ তাআলা সফলতা লাভকারী পরিচয় এভাবেই তুলে ধরেছেন।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে লক্ষ্য করে অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন এক জাতি সৃষ্টি হওয়া জরুরি; যারা (নিজেরে পাশাপাশি অন্য লোকদেরকেও) কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে। আর তারাই (পরকালে সাওয়াব লাভে) পরিপূর্ণ সফলকাম। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১০৪)
উল্লেখিত আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তাআলা সফলতা লাভকারীদের পরিচয় তুলে ধরেছেন। আর সফলতার কিছু মূলমন্ত্রও ঘোষণা করেছেন। দুনিয়ায় যে কাজ করলে পরকালের সফলতা সুনিশ্চিত, সে সবের বাস্তবায়ন করা জরুরি। আর তা হলো-
>> আল্লাহর ভয় এবং তাঁর রুজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধরার মাধ্যমে নিজেদের আত্মসংশোধনে একনিষ্ঠ হওয়া।>> দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে নিজের সংশোধনের পাশাপাশি অন্যের সংশোধনেও ভূমিকা রাখা।>> সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি অবিচল আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা।>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাস্তবজীবনে পালনীয় আদর্শসমূহ আপোসহীন অনুসরণ ও অনুকরণ করা।>> আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে পরিপূর্ণ ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখা।
Advertisement
পথহারা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন; প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহির নির্দেশ মোতাবেক দাওয়াতে দ্বীনের কাজে নিরলস পরিশ্রম এবং নসিহত প্রদান করেছেন। আর এ গুণগুলোর বাস্তবায়নেই পথহারা মানুষ পরকালে সফলতা লাভ করবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উল্লেখিত গুণগুলোর বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর
Advertisement