অর্থনীতি

বয়লার পরিচারকদের সনদ দিল শিল্প মন্ত্রণালয়

কারখানায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম শ্রেণির বয়লার পরিচারকদের সনদ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তীর্ণদের সনদ প্রদান করেন শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

Advertisement

প্রধান বয়লার পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বয়লার পরিচারক পরীক্ষক পর্ষদের সদস্য ও বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম মঞ্জুর মোর্শেদ, পর্ষদের সদস্য সচিব মো. শরাফত আলী ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বয়লার পরিচারক মো. রায়হান কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব বলেন, শিল্প উৎপাদনের সঙ্গে বয়লার জড়িত। বয়লার পরিচারকরা দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে বয়লার পরিচালনা করে শিল্প দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর অবদান রাখতে পারে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের শিল্প কারখানায় নিরাপদ বয়লারের ব্যবহার পাঁচ গুণ বাড়াতে হবে। এসময় তিনি শিল্প নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন জোরদারে বয়লার পরিচারকদের ইতিবাচক অবদান রাখার আহ্বান জানান।

Advertisement

মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়সহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সংস্থার সেবাদান কার্যক্রম আধুনিক ও গতিশীল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে সেবাদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি সেবা সহজীকরণ এবং সেবা প্রত্যাশীদের সন্তুষ্টির বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ লোক কর্মবাজারে আসছে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকার শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এ খাতের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে প্রশিক্ষিত বয়লারদের কার্যকর অবদান রাখার জন্য আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬০ জন প্রথম শ্রেণির বয়লার পরিচারকের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। উল্লেখ্য, এ পরীক্ষায় ১শ’ ৭০ জন আবেদন দাখিল করেছিল। এর মধ্যে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় ওই ৬০ জন চূড়ান্তভাবে কৃতকার্য হন।

এসআই/এমবিআর/পিআর

Advertisement