অর্থনীতি

তাঁত শুমারি কার্যক্রম শুরু করেছে বিবিএস

সরকার চলতি বছর দেশব্যাপী ৩য় তাঁত শুমারি পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২৭ মার্চ হতে দেশব্যাপী জোনাল অপারেশনের মাষ্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছে, চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এর আগে ১৯৯০ ও ২০০৩ সালে দেশব্যাপী তাঁত শুমারি পরিচালনা করে বিবিএস।

Advertisement

মঙ্গলবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী প্রধান অতিথি এবং অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের উপ-মহাপরিচালক এ.বি.এম. আরশাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিবিএসের সেন্সাস উইংয়ের পরিচালক মো. জাহিদুল হক সরদার স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর তাঁত শুমারি প্রকল্পের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাঁত শুমারির প্রধান অংশীজন হচ্ছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

প্রধান অতিথি সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী বলেন, এদেশে তাঁত বস্ত্রের রয়েছে সোনালি ঐতিহ্য। হস্তচালিত তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প। এ শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ লাখ লোক জড়িত। ফলে, কর্মসংস্থানের দিক থেকে কৃষি ও গার্মেন্টস্ শিল্পের পরেই তৃতীয় বৃহত্তম এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থানের দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হচ্ছে তাঁত শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকারও বেশি।

Advertisement

বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর তথ্যাদি হালনাগাদ করার বিধান থাকলেও ২০০৩ সালের পর আর কোনো তাঁত শুমারি অনুষ্ঠিত হয়নি।

বিবিএসের উপ-মহাপরিচালক এ.বি.এম. আরশাদ হোসেন বলেন, এটা প্রচলিত অন্যান্য শুমারির চেয়ে কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির ও অপেক্ষাকৃত জটিল।

এমএ/এমএমজেড/পিআর

Advertisement