বিনোদন

শুভ জন্মদিন শাকিব খান

অক্লান্ত পরিশ্রম আর বক্স অফিস সাফল্য দিয়ে গত ১০ বছর ধরে যিনি ঢালিউড সাম্রাজ্যের সিংহাসনে বসে আছেন তিনি শাকিব খান। তাকে ভালোবেসে কেউ কেউ ঢালিউড কিং বলে ডাকেন। আজ তার জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের ২৮ মার্চে তিনি নারায়ণগঞ্জ জন্মগ্রহণ করেন। দেশ সেরা এ নায়কের জন্মদিনে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে রইলো শুভেচ্ছা।

Advertisement

জন্মদিনে অনেক উপহার পাবেন শাকিব। উপহার পাওয়ার পাশাপাশি ভক্তদেরকেও উপহার দেবেন তিনি। আর সেই উপহার হলো একটি ইউটিউব চ্যানেল। জন্মদিনে ইউটিউবে আসছে নায়কের স্বনামে অফিসিয়াল চ্যানেল, শাকিব খান অফিশিয়াল। বঙ্গবিডি প্লাটফর্ম থেকে তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করবেন।

বাংলাদেশের প্রথম কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক বঙ্গবিডি জানায়, শাকিব খান তার নতুন ছবিগুলোর কিছু ইউটিউব স্বত্ব নিজের নামে রাখবেন। সেগুলোই চ্যানেলটিতে আপলোড করা হবে। এতে ছবির গানও যুক্ত হবে। পাশাপাশি এ তারকার স্মরণীয় কিছু কাজও এখানে থাকবে।

আরও জানা যায়, চ্যানেল উন্মোচন উপলক্ষে আজ বিকেলে বিশেষ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ অনুষ্ঠানে শাকিবের জন্মদিন উদযাপনসহ ইউটিউব চ্যানেলটি উদ্বোধন করা হবে।

Advertisement

এদিকে চিত্রনায়ক শাকিবের ক্যারিয়ার ঘেটে দেখা যায়, দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করে চললেও কিং খান হিসেবে শাকিবের উত্থানটা ২০০৮ সালের দিকে। তারপর থেকে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক তিনি। বলা হয়ে থাকে তিনিই ইন্ডাস্ট্রি! তাকে ঘিরেই এখানে টাকা লগ্নি হয়; ব্যবসার বীজ বোনেন প্রযোজক-হল মালিকরা। অনেক নতুন মুখ আসে আবার হারিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু শাকিব বহাল তবিয়তে রাজার আসনে বসে আছেন বাংলা ছবির নায়কদের রাজত্বে।

এই যে চলচ্চিত্রের মন্দার বাজার তবুও তিনি আশা জাগাতে পারেন। এটাই শাকিবের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। হয়তো অনেক সমালোচনা আছে- অভিনয়ের, গল্পের, চরিত্র বাছাইয়ের, তবু তিনি হাল ধরে আছেন ইন্ডাস্ট্রির। সমসাময়িক প্রায় সব প্রবীণ-নবীন নির্মাতার সাথেই কাজ করেছেন তিনি। নায়ক হয়েছেন মৌসুমী-শাবনূর থেকে শুরু করে আজকের নবাগতা কয়েকজন নায়িকার সঙ্গেও।

শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। তারা এক ভাই ও এক বোন। শাকিব খানের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। মনের অজান্তেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক চলে আসে তার। এরপর দর্শকের ভালোবাসা, বিনোদনের প্রতি নিজের ভালোলাগা, সবকিছু মিলিয়েই এখন তিনি বেশ আনন্দের সঙ্গে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন।

আফতাব খান টুলুর পরিচালনায় শাকিবের প্রথম ছবি ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’। ছবিটির শুটিং চলাকালীনই শাকিব খানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে ঢালিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের মাঝে। এটা ১৯৯৯ সালের কথা। সিনেমা হলে শাকিব খানের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায়। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন। কিন্তু এ ছবিটি শাকিবকে নায়ক হিসেবে খ্যাতি এনে দিতে না পারলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যবসাসফল সিনেমার কারণে তিনি দ্রুত সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় নায়ক হয়ে ওঠেন।

Advertisement

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’ এবং ২০১৬ সালের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান।

তবে সম্প্রতি দেশের প্রযোজক ও পরিচালকদের পাশ কাটিয়ে কলকাতার ছবি করাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে শাকিবের সমালোচনায় মত্ত ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রি। কেউ কেউ অবশ্য এটিকে দেখছেন শাকিবের একটি যুদ্ধ হিসেবেই।

ব্যক্তি জীবনে শাকিব খান এক পুত্রের জনক। তবে ভেঙে গেছে তার দাম্পত্য জীবন। ২০০৮ সালে প্রেম করে বিয়ে করা অপু বিশ্বাসকে তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন। সেই ডিভোর্স কার্যকর হয়েছে চলতি মাসেই।

এমএবি/বিএ