খেলাধুলা

ফেরার ম্যাচে ড্রয়ের হাসি লাল-সবুজদের

ফিফা র‌্যাংকিং, দুই দলের আগের সাক্ষাতের ফল আর ভেন্যু সবকিছুই এগিয়ে রেখেছিল লাওসকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ফেভারিট হয়েই মাঠে নেমেছিল ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে। কিন্তু মাঠে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ওসব পরিসংখ্যান উড়িয়ে দিয়ে স্বাগতিকদের রুখেই মাঠ ছেড়েছে। প্রতিপক্ষের মাঠে ২ গোলে পিছিয়ে গিয়ে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়া মন্দের ভালোই তো বটে!

Advertisement

মঙ্গলবার লাওসের ভিয়েনতিয়ানে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের। ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ভুটানের কাছে হারের পর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর বাংলাদেশ জানান দিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার।

এ ড্রটি অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্র ওর্ডের জন্য স্বস্তির। এই প্রথম কোনো জাতীয় দলের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে অন্তত হারতে হয়নি তাকে। বল দখল, পাসিং, রানিংয়ে স্বাগতিকদের চেয়ে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এমন ম্যাচ ড্রয়ের পর বাংলাদেশ ডাগআউটে ছিল জয়ের মতোই আনন্দ।

৩০ মিনিটে ডিফেন্ডার মামুন মিয়ার ব্যর্থতার বাংলাদেশ প্রথম গোল হজম করে। আবাহনীর অধিনায়ক বল থামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে দৌঁড়ে এসে বল জালে ঠেলে দেন স্বাগতিক দলের ফরোয়ার্ড কংমাথিলাথ। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে কংমাথিলাথ পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

Advertisement

৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকায় হারই নিয়তি ধরে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জাফর ইকবাল ও আবু সুফিয়ান সুফিল ম্যাচে ফেরান দলকে। ৮২ মিনিটে তপু বর্মনের লম্বা থ্রো নাসির উদ্দিনের ব্যাকহেড থেকে পান জাফর ইকবাল। বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি চট্টগ্রাম আবাহনীর এ ফরোয়ার্ড।

ম্যাচ যখন ইনজুরি সময়ে গড়ায় তখন স্বাগতিকদের ডাগআউটে জয়ের উল্লাস শুরু। কিন্তু বদলি সুফিল গোল করে থামিয়ে দেন লাওসের সে উল্লাস। সুফিল মাঠে নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে। ব্যাংককে হ্যাটট্রিক করা তৌহিদুল আলম সবুজকে এ ম্যাচে একাদশে রাখেননি কোচ ওর্ড। ফয়সাল মাহমুদের জায়গায় নেমেছিলেন সবুজ এবং পরে সবুজকে উঠিয়ে অ্যান্ড্র ওর্ড নামান সুফিলকে। সেই সুফিলই বাংলাদেশকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচান।

ভাগ্যও সহায় ছিল বাংলাদেশের। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ২০ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভ করেন। শেষ বাঁশির আগে লাওস তৃতীয়বার বাংলাদেশের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।

বাংলাদেশ দল : আশরাফুল ইসলাম রানা, টুটুল হোসেন বাদশা, রহমত মিয়া, আবদুল্লাহ (জনি), তপু বর্মন, জামাল ভুঁইয়া, ফয়সাল মাহমুদ (সবুজ)(সুফিল), মামুন মিয়া (ওয়ালি), মামুনুল, জাফর ইকবাল ও জীবন।

Advertisement

আরআই/এমএমআর/এমএস