খেলাধুলা

শেখ জামালের কাছে আবাহনীর হার

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না, ২৫৭ রানের। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এই রানও তাড়া করতে পারলো না আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে ২৬ রানে হেরেছে মাশরাফি-নাসিরের আবাহনী।

Advertisement

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল আবাহনী। ভারতীয় ওপেনার উম্মুক্ত চাঁদ একাই ভুগিয়েছেন নাসিরের দলকে। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৮ উইকেটে ২৫৬ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে শেখ জামাল।

আরেক ওপেনার সৈকত আলীর সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৯০ রান তুলেছেন চাঁদ। সৈকত ফিরেন ৫৬ রান করে। এরপর রাকিন আহমেদ শুন্য রানে সাজঘরের পথ ধরলেও তৃতীয় উইকেটে তানবীর হায়দারের সঙ্গে ৮১ রানের আরেকটি জুটি গড়েছেন চাঁদ। ৩১ রান করে রানআউটের ফাঁদে পড়েন তানবীর।

১৩৮ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১০১ রান করা উম্মুক্ত চাঁদকে শেষপর্যন্ত ফিরতি ক্যাচ বানিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরের ব্যাটসম্যানরা বলার মতো কিছু করতে পারেননি। না হয়, শেখ জামালের সংগ্রহটা আরও বড় হতো।

Advertisement

মাশরাফি বিন মর্তুজা ৪৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তাসকিন আহমেদ আর মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।

২৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মাশরাফিকেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঠিয়েছিল আবাহনী। তবে প্রমোশন পেয়ে খুব একট সুবিধা করতে পারেননি টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। ৭ রান করে আবু জায়েদের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। এরপর ৫৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে আবাহনী।

শেষের পাঁচ ব্যাটসম্যানই টুকটাক রান করায় পরাজয়ের ব্যবধানটা ছোট হয়েছে আবাহনীর। নাসির (২৮), মোসাদ্দেক হোসেন (২৭), মেহেদী মিরাজ (৩৫), সানজামুল ইসলাম (৩৫), এমনকি দশ নাম্বারে নামা তাসকিনও করেছেন ৩১ রান। ১৩৮ রানে ৭ উইকেট হারানো আবাহনী তাতেই ২৩০ পর্যন্ত যেতে পেরেছে।

শেখ জামালের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি আর রবিউল ইসলাম।

Advertisement

এমএমআর/এমএস