বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে দলীয় চেয়ারপারসনের মামলার আইনজীবী প্যানেল থেকে সরে দাড়াঁনোর কোনো কথাই হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
Advertisement
মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মওদুদকে সরে দাঁড়াতে বললেন খালেদা জিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির নিজ কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অপর ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সিমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ওই পত্রিকার সংবাদে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়ার মামলার কার্যক্রম পরিচালনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে আর যুক্ত থাকতে পারছেন না দলের অন্যতম নীতি নির্ধারক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। দলের স্থায়ী কমিটির এ সদস্যকে মামলার সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। অর্থাৎ এখন থেকে বেগম জিয়ার মামলায় মওদুদ আহমদকে দেখা যাবে না। তবে দলীয় কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবেই অংশ নিতে পারবেন তিনি। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি এ সংবাদ প্রকাশ করে।’
Advertisement
জয়নুল আবেদীন বলেন, পত্রিকাটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে। আমরা ছয়জন গিয়েছিলাম (কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে) দেখা করতে। সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রেজাক খান ও সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি আরও বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একজন সিনিয়র আইনজীবী। তার একটা সুনাম আছে। এ নিউজ শুধু তার সুনামই ক্ষুণ্ন হয়নি, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত করার চেষ্টাও করা হয়েছে। আইনজীবী সমাজ আন্তরিকতার সঙ্গে, সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক মামলা মোকাবেলা করছে।
জয়নুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারে জয় লাভের পর আমরা ছয়জনের একটি আইনজীবী দল গিয়েছিলাম। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাহেবের অন্য প্রোগ্রাম ছিল। সে জন্য তিনি যেতে পারেননি। ছয়জনকে প্রথমে অভিনন্দিত জানিয়েছেন (বার নির্বাচনে জয়লাভের জন্য) খালেদা জিয়া। ’
‘সেখানে মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নেত্রী বলেছেন নিজেরা যেভাবে কো অর্ডিনেট করছেন সেভাবে চালিয়ে যান। তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী- রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া আইনি মোকাবেলা করে মুক্ত হবেন সেটা তিনিও বিশ্বাস করেন। আমরা বলেছি সরকার যতই চেষ্টা করুক-আপনাকে বেশি দিন রাখতে পারবে না।‘
Advertisement
সংবাদটি দেখিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, নিউজটি খুবই দুঃখজনক। ‘মওদুদকে সরে দাঁড়াতে বললেন খালেদা জিয়া।’ কাকে বললেন? এ সাংবাদিক সাহেবকে বললেন? আমরা সবাাই উপস্থিত ছিলাম। আমাদের সঙ্গে তো এ ধরনের কথা হয়নি।’ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠানো হবে কি-না? জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, এ সংবাদ সম্মেলনই প্রতিবাদ। এর মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, মওদুদ আহমদের সাবমিশন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। জুনিয়র আইনজীবীদের শেখার আছে। কখনো তিনি বিরক্ত হন না।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কোনো কথা হয়নি।’ এ সময় খালেদার সাজা বাড়ানোর আপিল প্রত্যাহারের অনুরোধ জনান জয়নুল।
এফএইচ/এএইচ/আরআইপি