খেলাধুলা

এবার ব্যাট হাতে ওপেনার মাশরাফি

ওপেনার। সেটা বল হাতে হতে পারে, ব্যাট হাতেও। তবে সাধারণত ব্যাট হাতে যিনি ইনিংস ওপেন করতে নামেন তাকেই ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে চেনে সবাই। বোলারকে কেউ ওপেনার বলে না। এ কারণেই হয়তো মাশরাফি বিন মর্তুজা অসংখ্য ম্যাচে বল হাতে ইনিংস ওপেন করতে নামলেও কখনও ওপেনার তকমাটি পেলেন না। অবশেষে সেই তকমাটাও জুড়ে গেলো তার নামের পাশে।

Advertisement

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে ব্যাট হাতে রীতিমতো ইনিংস ওপেন করতে নেমে গেলেন তিনি। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের করা ২৫৬ রানের জবাব দিতে গিয়ে আবাহনীর ইনিংসই ওপেন করে বসলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এনামুল হক জুনিয়রের সঙ্গে মাশরাফিকে ইনিংস ওপেন করতে নামতে দেখে যারপরনাই অবাক সবাই।

কিন্তু ইনিংস ওপেন করতে নেমে সুনিল নারিন হতে পারলেন না মাশরাফি। আইপিএল, বিপিএলসহ বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগে যেভাবে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাটিং করে দলকে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ক্যারিবীয় অফ স্পিনার সুনিল নারিন, তেমনটা পারলেন না মাশরাফি। তিনি আউট হয়ে গেলেন মাত্র ৭ রান করে।

মাঠে নেমে উইকেটে ছিলেন মোটে ১৫ মিনিট। বল খেলেছেন ৮টি। এর মধ্যে একটি বাউন্ডারিও মেরেছেন মাশরাফি। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন ২২ রানের। অবশেষে ইনিংসের ৪র্থ ওভারে আবু জায়েদ রাহির বলে বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।

Advertisement

ব্যাট হাতে অনেক পজিশনেই ব্যাটিং করার অফিজ্ঞতা হয়েছে মাশরাফি। এর আগে তিন-চার-পাঁচ নম্বরেও ব্যাটিং করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে ইনিংস ওপেন করার অভিজ্ঞতাও নিলেন দেশ সেরা এই পেস বোলার।

মূলতঃ নিয়মিত ওপেনার সাইফ হাসানকে দলের বাইরে রাখার কারণে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেনার সঙ্কটে ছিল আবাহনী। একজন বোলার বাড়াতেই সাইফ হাসানকে দলে রেখেছিল ধানমন্ডির আকাশী-হলুদ শিবির; কিন্তু আবু জায়েদ রাহির করা দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গার তার ব্যাট-প্যাড হয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম মাশরাফির জন্য সৌভাগ্যের ভেন্যু। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তিনি ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন এই মাঠেই। ২০১৫-১৬ মৌসুমে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলেছিলেন ৫২ বলে ১০৪ রানের টর্নেডো ইনিংস। ওই ইনিংসটিও ছিল শেখ জামালের বিপক্ষে।

ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করতে নামার আগে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মাশরাফি। নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে উইকেটে না পেলেও, দ্বিতীয় স্পেলে এসেই পেলেন সাফল্যের দেখা। তুলে নেন ১০১ রানের ইনিংস খেলা উন্মুক্ত চাঁদের উইকেট। একই ওভারে ফিরিয়ে দেন জিয়াউর রহমানকে। পরের ওভারেই মাশরাফির বলে আউট হলেন সোহাগ গাজী। যার ফলে বেশিদূর যাওয়ার সুযোগ হয়নি ধানমন্ডির। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জামালরা তোলে ২৫৬ রান।

Advertisement

আইএইচএস/এমএস