জাতীয়

সাকা চৌধুরীর বিচার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) বিচার কাযক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। রোববার বেলা দুইটার দিকে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় নিয়ে কোন বিচারপতি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এ রকম খবর আমি বিশ্বাসই করি না।একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো এক বিচারপতির সঙ্গে সাকার পরিবারের সদস্যরা তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন -এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, গুজবের ওপর ভিত্তি করে কোনো রিপোর্ট হতে পারে না। এ ধরনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রধান বিচারপতির অফিস কোনো প্রতিবাদ পাঠাতে পারে না। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচার বিভাগকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করাই এর লক্ষ্য, এটা কারো কাম্য নয়। এ ধরনের লেখা বিচারিক কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেক সময় ক্ষতি হয় শত্রুর দ্বারা, আবার অনেক সময় ক্ষতি হয় অতি উৎসাহী বন্ধুর দ্বারা।তিনি বলেন, সাকার আপিলের মামলায় আসামিপক্ষ এবং রাষ্ট্রপক্ষ লিখিতভাবে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেছেন। সাক্ষীদের সাক্ষের ওপর ভিত্তি করে আদালত এ মামলায় রায় দিবে। তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এ ধরনের স্পর্শকাতর মামলা নিয়ে কলাম লেখা উচিত নয়। তাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়। আমি কোন দিনই বিশ্বাস করতে পারি না যে সাকার মামলার রায় নিয়ে এ ধরনের বৈঠক হতে পারে।তিনি বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের জানি। তাদের সততা দক্ষতা ন্যায় পরায়ণতা নিয়ে আমার ধারণা আছে। তারা সকলেই দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী। তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস যোগ্য নয়।তাহলে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পত্রিকার বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ব্যবস্থা নিতে হবে আমি এ রকম আশা করি না।তিনি বলেন, আদালত সাকাকে চারটি অভিযোগে ফাঁসির রায় দিয়েছেন এবং সে রায় সঠিক। আরো যে পাঁচ অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তার মধ্যে ২/৩ টিতে ফাঁসি হতে পারতো। যেহেতু আমরা সে সকল বিষয়ে আপিল করি নাই। সেহেতু এ ধরনের আশা করি না। তিনি আরো বলেন, সাকার অপরাধের পরিমাণ এতো বেশি যে ট্রাইব্যুনাল তাকে যে দণ্ড দিয়েছে সেগুলো বহাল থাকবে।একই সঙ্গে মুজাহিদের রায় নিয়ে রাষ্ট্রের এই প্রধান আইনজীবী বলেন, অচিরেই মুজাহিদের রায় পাবো। অর্থাৎ আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে মুজাহিদের রায় প্রকাশ হতে পারে। এটা আমার অনুমান। যেহেতু এবার অাপিলের রায় ঐক্যমতের ভিত্তিতে হয়েছে সেহেতু একজন বিচারক রায় লিখবেন। অন্য বিচারপতিদের এখানে ভিন্ন মত পোষণ করে রায় দেয়ার সুযোগ নাই।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি এ আদালতের কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। আশা করছি আগামী ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে মুজাহিদের রায় পাবো।এফএইচ/এসআইএস/আরএস/আরআইপি

Advertisement