ইচ্ছা করলে নিরাপদে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবন। ব্যস্ততম জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সুন্দরবনের বিকল্প আর কী হতে পারে? তবে যাওয়ার আগে জেনে নিতে হবে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। আজ সেগুলোই জানানোর চেষ্টা করছি-
Advertisement
ভ্রমণের সময়প্রতিবছর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণের উত্তম সময়। তবে বছরের যে কোনো সময়ে ভ্রমণে যাওয়া যায়।
যেভাবে যাবেনঢাকা থেকে সরাসরি চেয়ার কোচে মংলা বন্দরের পর্যটন ঘাটে পৌঁছতে পারেন। সেখান থেকে চেয়ার কোচ বা ট্রেনে খুলনা গিয়ে কোনো আবাসিক হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন জেলখানাঘাট থেকে লঞ্চে সুন্দরবন যেতে পারেন।
যেভাবে প্রবেশ করবেননৌপথে সুন্দরবনের গভীরে প্রবেশ করা যায়। মংলার অদূরেই ঢাইনমারীতে বনবিভাগের কার্যালয়। সেখান থেকে প্রবেশের নিয়ম-কানুন জেনে নিতে হয়।
Advertisement
প্রবেশ ফিজনপ্রতি ৫০ টাকা। তবে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ৭০০ টাকা। প্রতি লঞ্চ ২৫শ’ টাকা ও ছোট লঞ্চের জন্য কম রয়েছে। ভিডিও ক্যামেরা থাকলে অতিরিক্ত একশ’ টাকা দিতে হয়।
যা দেখবেনসুন্দরবনে বাঘ, হরিণ, বানর, কুমির, হাঙ্গর, ডলফিন, অজগর ও বনমোরগ ছাড়াও রয়েছে ৩ শতাধিক প্রজাতির গাছ, আড়াই শতাধিক প্রজাতির পাখি, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২ প্রজাতির বন্যপ্রাণি ও ৩২ প্রজাতির চিংড়িসহ ২ শতাধিক প্রজাতির মাছ।
দর্শনীয় স্থান দর্শনীয় স্থানের মধ্যে হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, শরণখোলা, ছালকাটা, টাইগার পয়েন্ট টাওয়ার, টাইগার পয়েন্ট সি-বিচ, জামতলা সি-বিচ, সাত নদীর মুখ, কালীরচর উল্লেখযোগ্য।
সঙ্গে যা রাখবেন ভ্রমণকালে সুপেয় পানি, প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স ও অভিজ্ঞ ট্যুর অপারেটর জরুরি। এছাড়া সুদক্ষ ও সশস্ত্র বন প্রহরী, ব্যবহারের কাপড়, কেডস্, শীতের সময় ব্লাঙ্কেট, রেডিও, ক্যামেরা থাকলে বেশি ভালো হয়।
Advertisement
এসইউ/পিআর