বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলানের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। রোববার কনস্যুলেট হল রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রের আঘাতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
Advertisement
পরে সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। আলোচনা সভায় মিলান প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন- কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ। বঙ্গবন্ধুসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নিহত, আহত সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানানো হয়।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কালো অধ্যায়। এদিন পাকিস্তানিরা অন্যায়ভাবে রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে নিরস্ত্র বাঙালি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে। তারা ভেবেছিল এর মাধ্যমে তারা বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবে। কিন্ত তাদের সে ভাবনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বাংলার আপামর জনতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করে।
Advertisement
আয়োজিত গণহত্যা দিবসের এ অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, মিলান প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
জেপি/এমআরএম/পিআর