বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চুইংগামের সহায়তা নেয়ায় ২০১৬ সালে ভীষণ সমালোচিত হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এবার তার দলের বিপক্ষেই ক্রিকেট ইতিহাসের কলঙ্কিত বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা ঘটালো অস্ট্রেলিয়া। একজন-দুজন নয়, পুরো দল মিলে বল টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনা করেছিল জানিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ডু প্লেসিস মনে করছেন, স্মিথের এই অপরাধ তার অপরাধের চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক।
Advertisement
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনের ঘটনা। বলের আকৃতি পরিবর্তনের জন্য শিরিস কাগজ জাতীয় কিছু একটা ব্যবহার করেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডার ক্যামেরুন বেনক্রফট। ক্যামেরায় যেটা স্পষ্ট ধরা পড়ে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সব দোষ স্বীকার করে নেন স্মিথ। অজি অধিনায়ক জানান, বেনক্রফট একা নন, দলের সিনিয়রদের বড় একটা অংশ মিলে পরিকল্পনা করেই এই কাজটা করেছেন তারা।
এই ঘটনার পর ক্রিকেট বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকেও কথা বলতে হলো এই ইস্যু নিয়ে। গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চেয়েছিলেন, স্মিথের ঘটনাটা তারটার চেয়ে বেশি গুরুতর কি না? জবাবে প্রোটিয়া দলপতি বলেন, ‘আমার উত্তর হবে, হ্যাঁ। বল শাইনিং (উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি) আর বল টেম্পারিং (আকৃতি পরিবর্তন) আলাদা দুটি বিষয়। একটি আরেকটির চেয়ে বেশি মারাত্মক।’
অভিজ্ঞতা থেকে ডু প্লেসিস জানেন, এই পরিস্থিতি কতটা কঠিন। স্মিথ তো দলের নেতৃত্ব হারিয়ে আরও বড় সংকটে। প্রতিপক্ষ দলের এই ব্যাটসম্যানের প্রতি তাই কিছুটা সহানুভূতিও ঝরে পড়লো ডু প্লেসিসের কন্ঠে, ‘আমি বুঝতে পারছি, এটা তার জন্য খুব কঠিন সময়। আমি যে পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম, সেটা কঠিন ছিল। মানুষজন আমার ব্যক্তিত্ব আর চরিত্র নিয়ে আক্রমণ করছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম, ভুল করেছি, কাজটি ঠিক হয়নি। তবে জানি না, সে কেমন অনুভব করছে। আমার ধারণা খুবই কঠিন সময় পার করছে।’
Advertisement
আইসিসি স্মিথকে এক টেস্টের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আরও বড় শাস্তি আরোপ করবে। এমনকি আজীবনের জন্যও নিষিদ্ধ হতে পারেন স্মিথ। ডু প্লেসিস মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে এটা বড়সড় ক্ষতি, ‘সে খুবই ভালো ব্যাটসম্যান। যেভাবেই হোক, আমরা তাকে এবার রান করতে দেইনি। এটা তো আসলে দুইজন খেলোয়াড় হারানোর মতো। সে শক্তিশালী একজন ব্যাটসম্যান। আমি মনে করি, তার নেতৃত্বও দলের জন্য ভালো। তাই এটা তাদের জন্য বড় ক্ষতি।’
এমএমআর/জেআইএম