বিনোদন

এবার তারিনের সেরা জন্মদিন

ছোট পর্দার দর্শকনন্দিনী অভিনেত্রী তারিন জাহান। মাঝে একটা বিরতির পর আবার টিভিতে কাজ শুরু করেছেন বিভিন্ন রোমান্টিক ও পরিণত চরিত্রে। ছোট পর্দায় কাজ করেছেন ১৯৮৫ সাল থেকে। তিনি নতুন কুড়ির পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী। শুরুতেই পেয়েছেন ‘নতুন কুঁড়ি পুরস্কার’। নাচ, অভিনয় আর গল্প বলা বিভাগে সেরা হয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী হিসাবে পরিচালকদের কাছে অত্যন্ত নির্ভরশীল এই অভিনেত্রীর জন্মদিন ২৬ জুলাই। গুণী এই শিল্পীর জন্য রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা। বিগত দশ বছর ধরেই তারিনকে দেখা যেত চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান ‘সিটিসেল তারকাকথন’-এ উপস্থিত থেকে ভক্তদের সাথে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ তরে নিতে। তবে নিজেই জানালেন তারিন, এবার হচ্ছে ব্যতিক্রম কিছু। বললেন, এবারের জন্মদিনটি তার জন্য অসাধারণ এবং ‘স্পেশাল’। কারণ, সঙ্গে থাকছে তার চার বোন ও বোনদের সন্তানেরা। অভিনয় জীবনের আগে থেকেই সবার আদরে বেড়ে ওঠা তারিন পরিবারের সবার চেয়ে ছোট বলে তার জন্মদিনটি সবসময়ই বিশেষভাবে উদযাপন করার চেষ্টা হতো। অভিনয় জীবনে তারিন যখন একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছে যান তখন তার বাবা, মা এবং অন্য চার বোনও তার প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের দৃষ্টি যেন আরো বাড়িয়ে দেন গভীরভাবে। তবে ব্যস্ততার জন্য সবাই একত্র হতে পারতেন না। এবার সেই সুযোগ মিলেছে। বোন শাহীনের মেয়ে ইরিনা এবারই প্রথম তার নানা নানীর সাথে (তারিনের বাবা-মা) ঈদ উদযাপন করেছেন এবং এবারই প্রথম ইরিনা তারিনের জন্মদিনে দেশে আছেন।পাশাপাশি তারিনের অন্য চার বোনের মধ্যে তিন বোন তুহিন, নাহিন ও জেবিন এই জন্মদিনে তারিনের পাশে থাকবেন সারাক্ষণ। পাশাপাশি তারিনের আদরের অন্য ভাগ্নে শায়ান, জারিফ ও জাসের তাদের খালামণিকে ঘিরে থাকবেন পুরোটা সময়। তবে তারিনের মন একটু খারাপ ভাগ্নে জাসিনের জন্য। কারণ এমন বিশেষ মুহূর্তে জাসিন আছেন দিল্লিতে শিক্ষা সফরে। নিজের জন্মদিন নিয়ে তারিন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে হয়তো বা আজকের জন্মদিনটি আমার জীবনের অন্যতম একটি জন্মদিন হতে যাচ্ছে। আমার বাবা-মা তো নাতনী ইরিনাকে কাছে পেয়ে ভীষণ খুশি। তাদের খুশিতে আমি নিজেও আনন্দিত। আমার জন্য আজকের দিনটি সত্যিই একটি বিশেষ দিন। সবার দোয়ায় এবং ভালোবাসায় দিনটি যেন ভালোভাবে উদযাপন করতে পারি- এই কামনা করছি।’এইদিকে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বেশ কিছু ঈদ নাটক-টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন তারিন। যে কারণে গত কয়েকদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। এবার তিনি বেশ ক’জন নামী নির্মাতাদের নির্দেশনায় বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কৌশিক শংকর দাশের ভালোবাসার ফাঁদ এবং এস এ হক অলিকের বন্ধু তুমি বন্ধু আমার। দু’টিতেই তার বিপরীতে ছিলেন অপূর্ব। আর আশরাফুল চঞ্চলের রচনায় আবু রায়হান জুয়েলের পরিচালনায় ‘তেল’ নামের একটি নাটকে তারিন কাজ করেছেন চিত্রনায়ক রিয়াজের বিপরীতে। এ ছাড়া দেশ টিভিতে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে তারিন অভিনীত দীপংকর দীপন পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘গ্র্যান্ড মাস্টার’।নাটক ও টেলিফিল্মের পাশাপাশি তারিন অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তারিন। ছবির নাম ‘পিরিত রতন পিরিত যতন’ এবং কাজলের দিনরাত্রি। পাশাপাশি প্রায়ই তিনি চলচ্চিত্রেও ডাবিং করে থাকেন। দু’টি ছবিতে ভারতীয় শিল্পী প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদি আর প্রিয়াঙ্কা ব্যানার্জির হয়ে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। একটি ছবিতে শাবনূরের কণ্ঠও দিয়েছেন। তারিনের রয়েছে আরো এক পরিচয়-তিনি গানও গাইতে জানেন। চার থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত ওস্তাদ হাসান ইকরাম উল্লাহর কাছে ক্লাসিক্যাল শিখেছেন তিনি। তারই সাহসে প্রকাশ করেছিলেন ‘আকাশ দেব কাকে’ শিরোনামের একটি একক অ্যালবাম। ধারবাহিকতায় তারিন ধারাবাহিক নাটকের সূচনা সংগীতে কণ্ঠ দিলেন। নাটকের নাম স্বপ্নগুলো জোনাক পোকার মতো। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পেয়েছেন অনেক সাফল্য। যার স্বীকৃতিতে ‘সবুজ ভেলভেট’ নামের একটি টেলিছবিতে অভিনয় করে জয় করে নিয়েছেন ‘মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার’ পেয়েছেন। এর আগে তিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন আরও দুবার। প্রথমটি ২০০৬ সালে ‘কথা ছিল অন্যরকম’ টেলিছবি আর ২০০৭ সালে তার একক অভিনীত নাটক ‘মায়া’র জন্য। দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছিলেন পাঠকদের ভোটে।প্রসঙ্গত, তারিনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যেখান থেকে একাধিক জনপ্রিয় নাটক-টেলিফিল্ম নির্মিত হয়েছে। সাফল্যের এই জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক মিষ্টি হাসির দুর্দান্ত অভিনত্রেী তারিনের-এই প্রত্যাশা চিরকাল।এলএ/এমএস

Advertisement