আইন-আদালত

প্রাথমিকের নন ক্যাডারদের বেতন কেন ১০ম গ্রেডে নয়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তদের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এইউইও) বা সমমর্যাদার দ্বিতীয় শ্রেণির গ্রেজেটেট যে কোনো পদে কেন নিয়োগ অথবা পদোন্নতি দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

অপর এক রুলে, রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে ৩৪তম বিসিএস নন ক্যাডারভুক্তদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষকদের সহাকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে অথবা সমমর্যাদার যে কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ-সংক্রান্ত দরখাস্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, সচিব, কন্ট্রোলার, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিজি, সিনিয়র সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। তার সঙ্গে ছিলেন পঙ্কজ কুমার কুন্ডু। পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।

নওগাঁ জেলার খাস নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাউল হক, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলামসহ ১৪ জন রিট আবেদন করেন।

Advertisement

রিটকারী মেজবাউল হক বলেন, বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নন গেজেটেড পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা নন ক্যাডার বিধিমালার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

বিধিমালা- ২০১৪ অনুযায়ী, দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় নিয়োগ দেয়ার কথা। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হলেও সেটি নন গেজেটেড পদ। আমাদের বেতন দেয়ার কথা ১০ম গ্রেডে কিন্তু এখন দেয়া হচ্ছে ১২তম গ্রেডে। অথচ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শকদসহ অন্যান্য নন ক্যাডাররা দ্বিতীয় শ্রেণি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ১০ম গ্রেড গেজেটেড পদে বেতন ভাতা পাচ্ছেন। যা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে।

এফএইচ/এএইচ/আরআইপি

Advertisement