তিন দিন ধরে টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নগরীর কোন কোন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পানি জমেছে। সড়কে পানি উঠায় বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের সাথে বান্দরবানের যোগাযোগ।আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য উঠানামায় ব্যাহত হচ্ছে।টানা বর্ষণে নগরীর বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মোগলটুলি, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, ষোলশহর, চকবাজার, কাপাসগোলা, চাক্তাই, বাকলিয়া এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর সড়কে যানবাহন চলাচল করছে একবারেই কম। রিকশা ও অটোরিকশায় আদায় করা হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া।এছাড়া জেলার ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, রাউজান, আনোয়ারা, বাঁশখালী, হাটহাজারী ও মিরসরাই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলাগুলোর বিস্তীর্ণ বীজতলা। পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে অনেক মৎস খামার। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের মাহালিয়া ও বাজালিয়া বড়দুয়ারা এলাকা তলিয়ে গেছে। ফলে বান্দরবান সদরের সাথে সারাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।শনিবার বিকেল থেকে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়েছে যাত্রীবাহী অনেক গাড়ী। সাতকানিয়ার ছদাহা, কেউচিয়া, জনার কেউচিয়া, আমিলাইশ, নলুয়া, চরতিসহ বিস্তীর্ণ এলাকার বসত ঘরে পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর ও নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর । উত্তর-বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছে এসে সাবধানে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এআরএস/এমএস
Advertisement