রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ‘মিয়ানমারের নিঃসঙ্গ একজনের আহ্বান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিয়ানমারের নাগরিক এবং রাজনৈতিক কর্মী খিন জ উইনসহ বক্তারা অভিযুক্তদের বিচারের আহ্বান জানান।
Advertisement
দি হেগের ‘হিউম্যানিটি হাউস’ জাদুঘর এবং থিংক-ট্যাঙ্ক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল এবং নেদারল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়া ডিভিশনের প্রধান মিজ মিরা উল্ডবারগ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং এনজিও’র প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সরকার কর্তৃক বিগত প্রায় এক দশক ধরে যে পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞ/নির্যাতন চালাচ্ছে এবং যার ফলশ্রুতিতে দশ লাখের ওপর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে এবং কিভাবে বাংলাদেশ তা মোকাবেলা করছে তা তুলে ধরা হয়।
জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে উদ্ভূত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, নিরাপত্তাজনিত, সামাজিক ইত্যাদি সমস্যার কথা উল্লেখ পূর্বক রাষ্ট্রদূত বেলাল মানবতার খাতিরে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দেন।
Advertisement
আলোচনায় মিরা উল্ডবারগ জানান, নেদারল্যান্ড রোহিঙ্গা সমস্যাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্য সূচিতে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ সমস্যা নিরসনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত এবং তাদের ওপর প্রয়োজনীয় অবরোধ আরোপ ফলপ্রসূ হবে বলে মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় মিয়ানমার সরকারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি’র ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে খিন জ উইন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের সময়ে রাখাইন প্রদেশে সংগঠিত নির্যাতনকে জঘন্যতম জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন।
এমআরএম/আরআইপি
Advertisement