খেলাধুলা

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল অক্টোবরে

আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে এ বছর নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল আয়োজন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সে পরিকল্পনা থেকে সরে এসে জাতির জনকের নামের এ টুর্নামেন্ট একটু এগিয়ে আনতে যাচ্ছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন শনিবার জানিয়েছেন, অক্টোবরে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েই তারা কাজ করছেন।

Advertisement

এ বছর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আছে। আছে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচও। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা বছরের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৭ মার্চ লাওসের বিরুদ্ধে। মূলতঃ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ লক্ষ্য করেই জাতীয় দলের এ ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচটি আয়োজন বাফুফের।

সাফ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষ করেই ঘরোয়া ফুটবল নিরবচ্ছিন্নভাবে করতে চায় বাফুফে। শনিবার প্রফেশনাল লিগ কমিটির সভায় এ দুটি টুর্নামেন্ট এবং ঘরোয়া আসরগুলো নিয়ে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাফুফে কর্মকর্তারা। ‘আমরা আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগের দলবদল করতে চাই। তারপর সাফ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষ করে নভেম্বরের দিকে ঘরোয়া ফুটবল শুরু করবো। আমরা সেভাবেই সব পরিকল্পনা করছি’-লিগ কমিটির সভা শেষে জানান আবদুস সালাম মুর্শেদী।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আলোচনায় থাকে প্রতি বছরই; কিন্তু নানা কারণে আয়োজন করা যায় না। প্রায় ২ যুগ আগে যাত্রা শুরু করা এ টুর্নামেন্ট এখন অনিয়মিত। ২২ বছরে হয়েছে মাত্র চারটি আসর-১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন তিন বছর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতি জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের; কিন্তু পরপর দুই বছর আয়োজন করতে পারলেও ধারাবাহিকতা থাকেনি। ফিফা ও এএফসির সূচির মধ্যে থেকে সময় বের করা কঠিন বলেই টুর্নামেন্ট নিয়মিত রাখা যাচ্ছে না।

Advertisement

দুই বছর আগে বাফুফের ঘটা করে ঘোষিত বর্ষপঞ্জিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল আয়োজনের সময় নির্ধারণ ছিল গত বছর ১১ থেকে ২৩ মার্চ। দুই দফা পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর। আয়োজন করতে না পারায় প্রতি বছর টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা থেকেও সরে আসতে হয়েছে বাফুফেকে।

গত বছর অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ সামনে রেখে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান, আসিয়ানের মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগও করেছিল বাফুফে। কিন্তু জাতীয় দল প্রস্তুত না থাকায় আরেকটি বিপর্যয়ের আশঙ্কায় টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেয়া হয়। এবার দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশের বেশি আমন্ত্রণ জানাবে না বাফুফে। কারণ, এ টুর্নামেন্টের আগে হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ও মালদ্বীপ ছাড়া এ অঞ্চলের অন্য কোনো দেশকে বঙ্গবন্ধু কাপে দেখা নাও যেতে পারে।

আরআই/আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement