মিচেল স্টার্ক, ব্রেট লি, সাকলাইন মোস্তাক কিংবা শেন বন্ডরা যে রেকর্ড আগে গড়ে গেলেন, সেটাকে এত দ্রুত টপকে যেতে পারবে কেউ, তা হয়তো ঘূর্ণাক্ষরেও ভাবতেও পারেনি। ৫২ ম্যাচে ওয়ানডেতে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক।
Advertisement
রেকর্ডটা কেউ একজন ভাঙতে পারেন, সেটা নিয়ে কারো মাথাব্যথাও ছিল না; কিন্তু ৫২ ম্যাচের জায়গায় ৫০ কিংবা ৫১ ম্যাচ হলেও কথা ছিল। ৪৩ ম্যাচেই শততম উইকেটের একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তানের রহস্যময় লেগ স্পিনার রশিদ খান। শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ। যার ফলে ৪৩ ম্যাচ শেষে ওয়ানডেতে রশিদ খানের উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৯৯টি।
রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামলেই হয়তো সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে দ্রুততম ১০০ উইকেটই নেয়া নয় শুধু. যে কোনো পর্যায়েই ওয়ানডেতে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়ে ফেলবেন এই আফগান স্পিনার। অথচ, মাত্র ১৯ বছর বয়স তার। রশিদের বোলিং তোপেই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান।
৫০ উইকেট নেয়া বোলারদের মধ্যে রশিদ খান ছিলেন ৮ম দ্রুততম। তবে সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে দ্রুততম ছিলেন তিনি। ১৯ বছর বয়সেই এই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। মাত্র ২৬ ম্যাচ খেলেই পৌঁছে যান উইকেটের হাফ সেঞ্চুরিতে। এরপর মাত্র ১৭ ম্যাচ খেলে রশিদ খান ৪৬ উইকেট নিয়ে পৌঁছে যায়ন ৯৯ উইকেটের মাইলফলকে।
Advertisement
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম ম্যাচে ১০০ উইকেট পাওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মিচেল স্টার্ক। তাকে খেলতে হয়েছিল ৫২ ম্যাচ। তার আগে এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন পাকিস্তানের সাকলায়েন মোস্তাক। তিনি খেলেছিলেন ৫৩ ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ডের লেগেছিল ৫৪ ম্যাচ। ব্রেট লি ১০০ উইকেট নিতে খেলেছিলেন ৫৫ ম্যাচ।
রশিদ খানের গড় এবং স্ট্রাইক রেটও সবচেয়ে বেশি। এতটা যে, যে কারও চোখ কপালে উঠে যাবে। ১৪.১২ করে গড় এবং স্ট্রাইক রেট ২১.৪ করে। কমপক্ষে ১০০০ বল করেছেন এমন যে কোনো বোলারের চেয়ে এই গড় এবং স্ট্রাইক রেট অনেক ভালো। রশিদ খানের আগে ওয়ানডেতে সবচেয়ে ভালো গড় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি জোয়েল গার্নারের। তার গড় ছিল ১৮.৮৪ করে গড়। এছাড়া রশিদ খাদের চেয়ে সেরা স্ট্রাইক রেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রায়ান হ্যারিস। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩.৪ করে।
তবে নিন্দুকেরা বলতেই পারেন, রশিদ খান তো আর বড় বড় দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত খেলেন না! এ কারণেই হয়তো ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে মুড়ি-মুড়কির মত উইকেট পেয়ে থাকেন। কথাটা আংশিক হলেও সত্য। কারণ, ক্যারিয়ারের ৪০ উইকেটই তিনি নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এবং ৩৩টি নিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া ক্যারিয়ার সেরা বোলিং তার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮ রানে ৭ উইকেট।
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement