মৌসুমের শুরুতে রাঙ্গামাটির বাজারে সয়লাব হয়েছে স্থানীয়দের উৎপাদিত তরমুজ। এই তরমুজ স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও বাজারজাত শুরু হয়েছে। বড় মাঝারি ছোট- যে কোনো আকারের তরমুজ স্বাদে মিষ্টি ও রসালো।
Advertisement
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও চাষিরা জানান, জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এবার মৌসুমেও তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় ও মাঝারি আকারের প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-২০০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৬০-১০০ টাকায়।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কান্তি চাকমা বলেন, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই লেকের পানি কমে গেলে প্রচুর আবাদী জমি ভেসে ওঠে। এসব জলেভাসা জমিতে প্রচুর তরমুজের আবাদ করেন স্থানীয় চাষিরা। এবার মৌসুমেও রাঙ্গামাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। পাশাপাশি বিশেষ মুনাফা লাভের সুবিধা পাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। উপযুক্ত আবহাওয়া, জমির উর্বরতা এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙ্গামাটিতে প্রতি বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়।
তিনি জানান, এ বছর জেলায় প্রায় ৬শ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে লংগদু উপজেলায়। এছাড়া বরকল, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বিলাইছড়ি উপজেলাতেও তরমুজের চাষাবাদ হচ্ছে। এসব জেলায় টোফেল, গ্লোরি ও চ্যাম্পিয়ন জাতের তরমুজের বীজ আবাদ হয়ে থাকে।
Advertisement
অন্যদিকে, রাঙ্গামাটিতে উৎপাদন প্রচুর হওয়ায় তরমুজ বাজারজাত হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/আরএ/আরআইপি