জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করায় মালদ্বীপকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। তবে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হলেও বৃহস্পতিবার আরও বেশ কয়েকজন সরকার বিরোধী সদস্যকে আটক করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের বিরোধিতা করার অভিযোগ উঠেছে আটক হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
Advertisement
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিবেশি দেশ হিসেবে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ মালদ্বীপ দেখতে চায় ভারত। আমরা দেশটির জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারকে স্বাগত জানাই।
বৃহস্পতিবারই জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে পরিস্থিতি এখনই শান্ত হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুম ও প্রধান বিচারপতি আবদুল্লা সাইদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনতে পারেন প্রেসেডিন্ট ইয়ামিন।
মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মুহম্মদ নাশিদ ও জেলবন্দি ৯ বিরোধী নেতাকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরেই শীর্ষ আদালতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন ইয়ামিন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বীপরাষ্ট্র জুড়ে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন।
Advertisement
এর ফলে সরকার বিরোধীদের গ্রেফতার ও আটক করার যাবতীয় ক্ষমতা দেওয়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। তারপর থেকেই চলছে অবাধ ধরপাকড়। গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমকে। গ্রেফতার করা হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লা সাইদ ও বিচারপতি আলি হামিদকে।
জরুরি অবস্থা চলাকালীন অন্তত ১৩৯ জন সরকার বিরোধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কায় মালদ্বীপের দূত মুহম্মদ হুসেন শরিফ জানান, মাত্র ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
প্রবল রাজনৈতিক চাপের মুখে গৃহবন্দি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ নাশিদকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ইয়ামিন। পরে ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়েছেন নাশিদ। সেখান থেকেই ইয়ামিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে সংহত করতে চাইছেন। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পরে টুইটারে নাশিদ জানান, ইয়ামিন জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছেন। কারণ এই মুহূর্তে মালদ্বীপে তার আর দরকার নেই। তবে এখনই হার মানছেন না নাশিদ। তিনি বলেন, লড়াই চলবে, আমরা লড়ব এবং জিতবও।
টিটিএন/পিআর
Advertisement