সকলের ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন নেপালের কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ডা. পিয়াস রায়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বরিশাল মহাশশ্মাণে শুরু হয় তার অন্তেষ্টিক্রিয়া। দুপুর দেড়টা নাগাদ অন্তেষ্টিক্রিয়া শেষ হয়।
Advertisement
ডা. পিয়াসকে শেষ বিদায় জানাতে মহা শশ্মাণে উপস্থিত ছিলেন স্বজন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও অসংখ্য মানুষ।
এরআগে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিয়াসের সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্জের সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত সোয়া ৩টায় এসে পৌঁছে।
এদিকে মরদেহ বরিশালে আসার খবরে শুক্রবার বিকেল থেকে ডা. পিয়াসের বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় করেন। এ সময় স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের সঙ্গে কেঁদেছেন উপস্থিত এলাকাবাসীও। সবাই যেন শান্তনার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।
Advertisement
সকাল ৮টার দিকে পিয়াসের মরদেহ জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। প্রিয় বিদ্যাপিঠ বরিশাল জিলা স্কুলে পিয়াসের কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষক ও প্রাক্তন সহপাঠীরা। এরপর অন্তেষ্টিক্রিয়ার জন্য নেয়া হয় বরিশাল মহাশশ্মাণে ।
ডা. পিয়াস নগরীর গফুর সড়কের মধুকাঠি ভবনের বাসিন্দা ও ঝালকাঠির নলছিটির চন্দ্রকান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুখেন্দু বিকাশ রায় এবং বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পূর্ণা রানী রায় দম্পত্তির একমাত্র ছেলে। পিয়াসের ছোট বোন শুভ্রা রায় বরিশাল ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
গোপালগঞ্জ হালিমা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করে ১২ মার্চ ডা. পিয়াস নেপালের উদ্দেশে রওনা হন। সর্বশেষ প্লেনে ওঠার আগে ওইদিন বেলা সোয়া ১১ দিকে মা পূর্ণা রানীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপর থেকে পিয়াসের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই।
দুর্ঘটনার ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে পিয়াসের মরদেহ তার বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় গ্রহণ করেন। এরপর বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন।
Advertisement
সাইফ আমীন/এফএ/এমএস