অর্থনীতি

বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ধসের প্রতিবাদে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ গঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে মিজান-উর রশীদ চৌধুরী এবং আব্দুর রাজ্জাক। সম্প্রতি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নামে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে এ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তিনি আমান কটন ফাইবার্সের কাছে ৮ লাখ টাকা চাদাঁ দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠে। অভিযোগ উঠেছে, কোম্পানিটির রোড শো সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই তিনি চাদাঁ দাবি করে আসছেন। চাদাঁ না পেয়ে গত ১৮ মার্চ আমান কটন ফাইবার্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে আমান কটনের সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, ঐক্য পরিষদের আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে চাদাঁ দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করার হুমকিও দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ চাদাঁ না পেয়ে আমান কটন ফাইবার্সের আইপিও বাতিল চেয়ে বিএসইসিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চিঠি দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই এভাবে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নামে চাঁদা দাবির পথ বন্ধ হোক। নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসের আগেই এমন চাঁদা দাবি করলে কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে নিরুৎসাহিত হবে। এতে শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

Advertisement

তবে আমান কটনের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমি চাঁদা দাবি করিনি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এ অভিযোগের কারণ সম্প্রতি আমরা বিএসইসিতে কোম্পানিটির কাট অব প্রাইজের বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে আমান কটনের কাট অব প্রাইজ বেশি নির্ধারিত হয়েছে, তাই অভিযোগ দিয়েছি।

এদিকে সম্প্রতি আইপিও অনুমোদন পাওয়া আরও একটি কোম্পানির কাছে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ টাকা দাবি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোম্পানির পক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করা হবে এমন কথা বলে স্পন্সর চায়। কোম্পানি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে আইপিও বাতিল চেয়ে বিএসইসিতে আবদেন করে। তবে কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে হেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, আইপিও পাওয়ার পর বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করবে বলে স্পন্সর চায়। টাকা না দিলে কমিশনে অভিযোগের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে কমিশনে অভিযোগও দেয়। তবে কমিশন হেয়ারিং করে সেটার সমাধান করেছে।

তিনি আরও বলেন, আইপিও পাওয়ার পর কাট অব প্রাইস নির্ধারণ করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। পাবলিকের হাতে এখনও শেয়ার আসেনি, তবুও তারা বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষার নামে চাঁদা দাবি করছে। এটা বন্ধে জোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

Advertisement

এমএএস/আরএস/আরআইপি