যতবার নিদাহাস ট্রফির কথা মনে হচ্ছে, সবার স্মৃতিপটে দুটি ছবিই ভেসে আসছে। পেসার রুবেল হোসেনের করা ১৯ নম্বর ওভারে দিনেশ কার্তিকের নেয়া ২২ রান আর অনিয়মিত জেন্টল মিডিয়াম বোলার সৌম্য সরকারের করা খেলার শেষ বলে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে সেই কার্তিকের ব্যাট থেকে আসা ‘ফ্ল্যাট সিক্স’। ক্রিকেট অনুরাগি-ভক্তদের মনে ‘শেলের’ মত বিধছে দৃশ্যগুলো। ২ ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। নিদাহাস ট্রফিতে যাদের ওপর ভারতীয় ব্যাটিং নির্ভরশীল, সেই রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, মনিস পান্ডে আর লোকেশ রাহুলরা আউট। ব্যাটসম্যান তকমাধারীদের মধ্যে শুধু দিনেশ কার্তিকই ক্রিজে। ভড়কে যাওয়া বিচিত্র নয়।
Advertisement
‘হায়-হায়, আমার সঙ্গী ব্যাটসম্যানরা সবাই সাজঘরে। আমি শুধু একা উইকেটে। কি করি?’ এমন চিন্তা গ্রাস করেনি। ভয়-ডরের বালাই ছিল না। উল্টো বুক ভরা সাহস নিয়ে মোকাবিলা করেছেন বাংলাদেশের বোলারদের। এমন কঠিন চাপে, স্নায়ুর যুদ্ধে সাহস ও আস্থা না হারিয়ে অবিচল থেকে সব দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে কি অসামান্য দক্ষতায় বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে ভারতকে অবিস্মরণীয় জয় উপহার দিলেন চেন্নাইয়ের প্রায় ৩৩ বছর বয়সী (৩২ বছর ২৯২ দিন ) এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কাম উইকেটকিপার।
ফাইনালের আগে ১৬ মার্চ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে ও মাঠের বাইরের কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে বাংলাদেশ শিবির এবং টাইগার ভক্তরা খানিক উত্তেজিত। আবেগতাড়িৎও। তারপর ফাইনালে জয়ের ঘ্রান নাকে এসে লাগার পর বিজয়ের মঞ্চে উঠতে গিয়েও উঠতে না পারার বেদনায় দগ্ধ বাংলাদেশ।
সবাই ম্যাচ হেরে খানিক দিগভ্রান্ত। দিনেশ কার্তিকের সাহসী ও বীরোচিত ব্যাটিংয়ের প্রশংসা না করে রুবেল হোসেন আর সৌম্য সরকারের সমালোচনা এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দল পরিচালনা ও বোলার ব্যবহারের ভুল ত্রুটি নিয়েই রাজ্যের কথাবার্তা।
Advertisement
সেটা অস্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রিয় জাতীয় দলকে নিয়েই ভাববেন। টাইগাররা কি করলো, কেন পারলো না? তা নিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষন হবে, সেটাই স্বাভাবিক। ভারত কিভাবে জিতলো, কার বীরোচিত ব্যাটিংয়ে জিতলো, এসব নিয়ে কারও ভাবার কথাও না।
কিন্তু তারপরও একটি বিশেষ কারণে এ প্রতিবেদনের অবতারনা। দিনেশ কার্তিক এখন ভারতের হিরো। খালি চোখে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়া এক চরিত্র। কেউ কেউ হয়ত বলবেন, দিনেশ কার্তিককে নিয়ে লেখালেখির কি আছে? সেতো অমন বড় কিছু না। প্রায় মধ্য তিরিশে পা রাখা এক উইকেটকিপার কাম মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মহেন্দ্র সিং ধোনি আসার পর যিনি প্রায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন। এবার নিদাহাস ট্রফিতে ধোনি ছিলেন না। তাই তাকে দলে নেয়া । সে সুযোগটাই কাজে লাগালেন তিনি। ভারতকে ট্রফি জিতিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আবারও উঠে এলেন দিনেশ কার্তিক।
খালি চোখে, মাঠে ২২ গজের লড়াইয়ে সফলতম পারফরমার দিনেশ কার্তিক। ১৯তম ওভারে পেসার রুবেল হোসেনকে দুই ছক্কা ও সমান বাউন্ডারি ও এক ডাবলসে ২২ রান নেয়ার পর সৌম্য সরকারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতের জয়ের নায়ক। তাই তার বীরত্ব ও অসামান্য উইলোবাজিই দৃশ্যমান।
কিন্তু আসল কথা অন্য। দল জিতিয়ে শিরোনামে আসা বহূদুরে, তারতো দলেই থাকার কথা ছিল না। মহেন্দ্র সিং ধোনি নেই। তার বদলে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ এবং নির্বাচকরা মিলে দলে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ও প্রায় ৩৩ বছর বয়সী দিনেশ কার্তিককে। পরিবর্তে তার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট এবং সময়ের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্তই (দিল্লীর) হতে পারতেন সম্ভাব্য সেরা বিকল্প।
Advertisement
কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অনেক ভেবে চিন্তে দিনেশ কার্তিকের অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা রেখে তাকেই দলে নিয়েছেন। তারা ইতিহাস, পরিসংখ্যান ও আনুসঙ্গিক কিছু বিষয় মাথায় রেখেই দিনেশ কার্তিককে দলে রেখেছেন। প্রথমত, কার্তিকের বাংলাদেশের বিপক্ষে ট্র্যাক রেকর্ড ভাল। একটি মাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি তার; সেটাও বাংলাদেশের বিপক্ষে (২০০৭ সালের ২৫ মে, ওপেনার হিসেবে খেলতে নেমে মিরপুরে ৩২৫ মিনিটে ২১২ বলে ১৬ বাউন্ডারিতে ১২৯ রান)।
এছাড়া গত বছর প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে খেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে দিনেশ কার্তিকের। মোহামেডানের হয়ে বিকেএসপিতে দারুন সেঞ্চুরিও আছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে তার ধারণাকে বিশেষ বিবেচানায় রাখা হয়েছে। সর্বোপরি তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে বিশেষ বিবেচনায় আনা হয়েছে।
খুব ভাল করে খেয়াল করবেন, দিনেশ কার্তিকের ক্যারিয়ারের পুরোটাই ওঠা-নামার পালা। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি কোনো ফরম্যাটে একটানা বেশি দিন খেলা হয়নি তার। বিশেষ করে মহেন্দ্র সিং ধোনির অভিষেকের পর ধীরে ধীরে বাইরে ছিটকে পড়েন।
চেন্নাইতে জন্ম নেয়া দিনেশ কার্তিকের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ওয়ানডে দিয়ে; ২০০৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে । সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারত ওই ম্যাচে জয়ী হয় ২৩ রানে। ১১৯ বলে ৯০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরা কলকাতার মহারাজ। আর দিনেশ কার্তিক সাত নম্বরে নেমে ১০ মিনিটে ১২ বল খেলে করেন মোটে ১।
ঠিক পাঁচদিন পর ১১ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে খেললেও ব্যাটিং পাননি। তারপর দুই বছর ওয়ানডে দলের বাইরে। ২০০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ইন্দোরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবার মাঠে নামেন তিনি। সেই ম্যাচের ছয় মাস পর ওই বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টানা খেলার সুযোগ পেয়ে রান করেন যথাক্রমে- ১৪ , ১৭ ও ১১।
সে থেকে ২০০৭-এর অক্টোবর পর্যন্ত টানা খেললেন এবং ১৭ অক্টোবর মুম্বাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডাক মারার পর বাড় পড়লেন। এরপর দলের বাইরে ছিলেন ২০ মাস। আবার ২০০৯ সালের ২৬ জুন ফিরলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। খেললেন ৬৭ রানের ইনিংস। এরপর ২০০৯ ও ২০১০ সালে ২৬ টি ম্যাচ খেলার পর আগস্টে আবারও দল থেকে বাড় পড়লেন। দীর্ঘ ৩৪ মাস বাইরে থাকার পর ২০১৩ সালের ৬ জুন আবার ফিরে আসলেন। সেখানেও অনিয়মিত। ২০১৩ সালের ৬ জুন থেকে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলার পর আবার বাইরে ছিটকে পড়েন। এবারো তিন বছরের বেশি থাকলেন দলের বাইরে। এরপর ২০১৭ সালের ২ জুলাই আবারও ফিরলেন দলে। গত বছর ডিসেম্বরে বিশাখাপত্তমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেললেন শেষ ওয়ানডে।
একই রকম অনিয়মিত অবস্থা তার টি-টোয়েন্টিতেও। সেই এক যুগ আগে অভিষেক; ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে (৩১*)। প্রথম বছর ওই একটি ম্যাচেই সুযোগ পাওয়া। দ্বিতীয় বছর মানে ২০০৭ সালে চারটি, ২০০৮ সালে একটি , ২০০৯ সালে একটি ও ২০১০ সালে একটি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১১ থেকে ২০১৬- টানা ছয়টি বছর আর টি টোয়েন্টি খেলা হয়নি।
২০১৭ সালে আবার চার ম্যাচ অংশ নেয়ার পর এ বছর ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ম্যাচ খেলেন। এরপর নিদাহাস ট্রফিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি না আসার আবার দলে। একটা দারুন তথ্য! নিদাহাস ট্রফিতে পাঁচ ম্যাচে (১৩*+২*+৩৯*+২*+২৯*) একবারও আউট হননি দিনেশ কার্তিক।
এক যুগে দিনেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মোটে ১৯ টি। ব্যাট করার সুযোগ মিলেছে ১৭ বার। রান ২৬৯। সর্বোচ্চ ৪৮। ফিফটি নেই। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৪৪। আহামরি কিছু নয়। অথচ ভারতীয় নির্বাচক কমিটি এবং টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপর আস্থা রেখেছেন। দিনেশ কার্তিকও সে আস্থার প্রতিদান দিয়ে ত্রাণকর্তার ভুমিকা নিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল জিতিয়ে রাজ্যজয়ী বীরের মত মাথা উঁচু করে গর্বের হাসিতে দেশে ফিরেছেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনির মত অতি নির্ভরযোগ্য পারফরমারের বিকল্প হিসেবে দিনেশ কার্তিককে বেছে নেয়াটাই এ প্রতিবেদনের মূল উপজীব্য। ইনজুরি, ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক কারণে ক্রিকেটাররা কখনো কখনো মাঠের বাইরে থাকবেন। সেটাই স্বাভাবিক। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকদের কাজ হলো, সেই সময় সম্ভাব্য সেরা বিকল্প খুঁজে বের করা।
প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ্যের কথা ভেবে এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি বিচার বিবেচনায় এনে বিকল্প কাউকে বেছ নেয়াই যুক্তিযুক্ত। ভারতীয় দলের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট সেই কাজে শতভাগ সফল। তাদের দুরদর্শিতার প্রশংসা না করে উপায় নেই। তারা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, কোন অভিজ্ঞ পারফরমারের সম্ভাব্য এবং সেরা ও সঠিক বিকল্প হতে পারে আরেক অভিজ্ঞ যোদ্ধা। যিনি অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে এখনো টিকে আছেন। যার মেধা, অভিজ্ঞতা এবং সামর্থ্যও ভালো। সবচেয়ে বড় কথা, যাদের বিপক্ষে খেলা, সেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা এবং স্বাগতিক দেশের কন্ডিশন সম্পর্কে তার ধারণা পরিষ্কার। সে কারণেই এত বছর পরও ধোনির বিকল্প হিসেবে দলে সুযোগ পান দিনেশ কার্তিক।
অথচ সেখানে এই মাস খানেক আগে, বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের মত অভিজ্ঞ এবং দেশ সেরা পারফরমারের বিকল্প হিসেবে খুঁজে নিয়েছিলেন আনকোরা জাকির হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। তামিম বাঁ-হাতি মারকুটে ওপেনার। আর জাকিরও বাঁ-হাতি। আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করেন। তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে কি নেই, তা চিন্তা না করে তাকে ঘরের মাঠে তিন জাতি আসরে দলে নেয়া হলো। অবধারিতভাবে জাকির ব্যর্থ। একইভাবে বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার সাকিবের বদলে আরেক বাঁ-হাতি আফিফ হোসেন ধ্রুবর ওপর আস্থা রাখলো টিম ম্যানেজমেন্ট। সবে বিশ্ব যুব ক্রিকেট খেলে আসা এই যুবা কখনো জাতীয় দলের সাথে ক্যাম্পও করেননি।
অথচ এই সব পজিশনে শাহরিয়ার নাফীস, অলক কাপালি, নাঈম ইসলামরা হতে পারতেন ভালো চয়েজ; কিন্তু তাদের বয়স হয়ে গেছে। ফিটনেস কমে গেছে। তারা অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে। শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন, তাই তারা পারবেন না। এ চিন্তায় তাদের প্রায় চিরতরে বাদ দেয়া হয়েছে। চিন্তা-ভাবনার কোথাও এখন আর শাহরিয়ার নাফীস, অলক কাপালি ও নাঈম ইসলামরা নেই।
ভারতীয় নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে দিনেশ কার্তিক যেমন বারবার সুযোগ পেয়েছেন, তার তিন ভাগের একভাগ সুযোগও শাহরিয়ার নাফীস, নাইম ইসলাম আল অলক কাপালিরা পাননি। অথচ তারা এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করছেন। নৈপুণ্যের দ্যুতিতে মাঠ মাতিয়ে দল জেতাচ্ছেন। এরপরও সত্যিকার মেধা-প্রজ্ঞা আর অভিজ্ঞতার কদর ও মূল্যায়ন পাননি। আদৌ পাবেন- সে সম্ভাবনাও নেই।
তবে আশা করবো বাংলাদেশের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট ভারতীয়দের কাছ থেকে দেখে শিখবেন। ভারতীয়রা যদি দিনেশ কার্তিককে ৩৩ বছর বয়সে সুযোগ দিতে পারেন, আর তিনি যদি শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ট্রফি উপহার দিতে পারেন, তাহলে শাহরিয়ার নাফীস, অলক ও নাঈম ইমলামদের কি মাঝে সুযোগ দেয়া যেত না? এখনো কি তাদের বিবেচনায় আনা যায় না? সৌম্য-লিটনের অবস্থা খারাপ। এক ম্যাচ জ্বলে তো সাত আট ম্যাচ আর খবর থাকে না। শাহরিয়ার নাফীস কি তাদের বিকল্প হতে পারেন না? মাঝে ছয় আর সাতে মাহমুদউল্লাহর পরে কারো ব্যাটে আস্থা নেই। সেখানে অলক কিংবা নাঈম ইসলামকে বিবেচনায় আনা যায় না?
ভেবে দেখার এখনই সময়।
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি