পদত্যাগ করেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও। প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে থিন কিয়াও জানিয়েছেন, তিনি বর্তমান দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চান। তার ফেসবুক পেজ থেকেও তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। খবর দ্য কুরিয়ার।
Advertisement
থিন কিয়াওয়ের পদত্যাগের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে বেশ কয়েক মাস আগে ৭১ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টকে একটি দাপ্তরিক অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল দেখা গেছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গত বছর থেকেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার সরকার। এই সংকট সমাধানে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সু চিও বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও চাপের মুখে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াওয়ের পদত্যাগরে পেছনে তার শারীরিক অসুস্থতাই মূল কারণ নাকি রোহিঙ্গা সংকট বা অন্য কোনো কারণে তিনি চাপের মুখেই পদত্যাগ করেছেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী আগামী সাত দিনের মধ্যেই একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে। তবে নতুন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সুই।
Advertisement
তবে প্রেসিডেন্টের পদে বসার কোনো সুযোগ নেই দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির। সংবিধান অনুযায়ী তিনি স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
২০১৬ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন থিন কিয়াও। জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। নিজের দলের এত বড় জয়ের পরও স্বামী ও দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সু চি।
তবে সু চি প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ডান হাত হিসেবে পরিচিত থিন কিয়াও প্রেসিডেন্ট হওয়ায় গুঞ্জন উঠেছিল যে, মূল ক্ষমতা থাকবে সু চির হাতেই। থিন কিয়াও সু চির ছায়া হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন। ওই নির্বাচনে ৫০ বছরের সামরিক শাসনের অবসান ঘটে। দীর্ঘদিন পর গণতান্ত্রিক সরকার পায় মিয়ানমার।
টিটিএন/পিআর
Advertisement