পৌনে দুইশ বছরের পুরাতন গাছগুলো রেখে অবিলম্বে ঐতিহাসিক যশোর রোডের (যশোর- বেনাপোল মহাসড়ক) সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ শুরুর দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
Advertisement
যশোর রোড উন্নয়ন ও গাছ রক্ষা সমন্বয় কমিটি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়ালের কাছে এ দাবিতে স্মারকলিপি দেয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যশোরবাসীসহ সারাদেশের জনগণের প্রতিবাদে সরকার গাছ রক্ষা করে সড়ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। গাছ কাটার ওপর আদালত ৬ (ছয়) মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পরিবেশ, ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি উপেক্ষা করে যশোর রোডের বৃক্ষ নিধন কোন ক্রমেই যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে না। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অন্যতম। ফলে যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষার বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিৎ। সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে পরিবেশ-প্রতিবেশের প্রশ্নটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় এনেছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলার জন্য উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, বেনাপোল হলো দেশের প্রধান স্থলবন্দর। সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার টন মালামাল আমদানি-রফতানি হয়। বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন ৮/৯ হাজার মানুষ ভারতে এবং যশোর ও সাতক্ষীরার হাজার হাজার মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন। সে বিবেচনায় সড়ক ও রেল যোগাযোগকে যুগপৎ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যশোরের সিঙ্গিয়া স্টেশনে রেলওয়ে কন্টিনার পোর্ট চালু ও জনসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য বেনাপোল-ঢাকা সকাল-সন্ধ্যা দুইটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা জরুরি।
Advertisement
একইসঙ্গে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের উভয়পাশে ৪০ থেকে ৬০ ফুট সরকারি জমি উদ্ধার করে বিদ্যমান মহাসড়কের উভয়পাশের লেন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এতে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত দেড় শতাধিক বছরের পুরাতন গাছগুলো রক্ষা পাবে, তেমনি অতি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হবে। এক্ষেত্রে রেল, সড়ক, জলপথ ও বিমান সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় এনেই জেলার উন্নয়ন করতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, যশোর রোড উন্নয়ন ও গাছ রক্ষা সমন্বয় কমিটি আহ্বায়ক খন্দকার আজিজুল হক মনি, সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু, উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, অনিল বিশ্বাস, অ্যাড. মাহাবুব আলম বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী স্বপন, জাকির হোসেন হবি, নাজিম উদ্দিন, হারুন-অর-রশীদ, ডিএম শাহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, সানোয়ার আলম খান দুলু, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সাবু, জোগেশ চন্দ্র দত্ত, তরিকুল ইসলাম তারু, নওরোজ আলম খান চপল, প্রণব দাস, কামাল হোসেন পলাশ, সুজন দত্ত লাল্টু, শ্যামল শর্মা, সুব্রত কুমার বিশ্বাস, শাহাবুদ্দিন আলম, অনুপ কুমার পিন্টু, সিরাজুল কাশেম ও অরূপ কুমার মিত্র প্রমুখ।
মিলন রহমান/এএম/এমএস
Advertisement