রাত পোহালেই মেয়েটির মাধ্যমিক পরীক্ষা, কিন্তু তার আগেই মেয়ে আর মাকে খুন হতে হলো বাবার হাতে। তাদের খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই হত্যাকারী বাবা। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের হাবড়া রাজবল্লভপুর বিশ্বাসহাটি গ্রামে। ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা দেবনাথ (১৫) এবং তার মা মিঠু দেবনাথকে হত্যা করেছে পূজার বাবা শেখর দেবনাথ।
Advertisement
গত ১৭ মার্চ শনিবার পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল পূজা। বিকেলের পর থেকে তাকে আর তার মাকে দেখা যায়নি। পরদিন রোববার সারাদিনও তাদের কেউ দেখেনি এলাকায়। সোমবারও অর্থাৎ ১৯ মার্চের পরীক্ষায় ও পূজা উপস্থিত ছিল না বলে জানিয়েছেন হাবড়া থানার পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দারা।
পূজার বাবাকে সোমবার বিকালে এলাকার লোকজন মেয়ে এবং স্ত্রী কোথায় জানতে চাওয়ায় সন্দেহজনক ভাবে দৌড়ে নিজের বাড়ির দোতালায় উঠে যান শেখর দেবনাথ এবং নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। শেখর দেবনাথকে উদ্ধারের সময় প্রতিবেশীদের সবার নাকেই তার বাড়ি থেকে পঁচা গন্ধ আসতে থাকে। এরপরই গন্ধের সন্ধান করতে গিয়ে খাটের নিচ থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো মা ও মেয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান তারা। পরে স্থানীয় মছলন্দপুর পুলিশ ফাড়িতে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ শেখর দেবনাথকে গ্রেফতার করেছে। সরকারি হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
Advertisement
নিজের বাড়িতেই সেলাইয়ের কারখানা করেছিলেন শেখর দেবনাথ। ধার দেনা করে কারখানা দিয়ে সময়মত টাকা না দিতে পারায় চরম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এ কারনেই এ ধরনের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
টিটিএন/এমএস