যে সব কচু দাঁড়ানো বা স্থির পানিতে চাষ করা যায় তাকে পানি কচু বলে। পানি কচুর বিভিন্ন নাম রয়েছে। কচুতে ভিটামিন এ এবং প্রচুর পরিমাণে লৌহ রয়েছে। তাই সুস্বাদু সবজি হিসেবে চাষ করতে পারেন পানি কচু।
Advertisement
মাটিপলি দো-আঁশ ও এটেল মাটি পানি কচু চাষের জন্য উপযুক্ত। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এর চাষাবাদ করা যায়।
বৈশিষ্ট্যকচুর লতি লম্বায় ৯০-১০০ সেন্টিমিটার। এটি সামান্য চেপ্টা ও সবুজ হয়। বোঁটা এবং পাতার সংযোগস্থলের উপরিভাগের রং বেগুনি। জীবনকাল ১৮০-২১০ দিন।
চারাআগাম ফসলের জন্য কার্তিক (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেস্বর), নাবী ফসলের জন্য মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে লাগানো যায়। দক্ষিণাঞ্চলে বছরের যে কোনো সময় লাগানো যায়। প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি লতা রোপণ করা যায়। জমি ভালোভাবে তৈরি করে লাইন থেকে লাইন ২ ফুট এবং গাছ থেকে গাছ ১.৫ ফুট দূরত্ব রাখতে হবে।
Advertisement
সার প্রতি শতকে ইউরিয়া ৬০০ গ্রাম, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমওপি ৭৫০ গ্রাম এবং গোবর ৫০ কেজি দিতে হবে। গোবর, টিএসপি এবং এমওপি সার জমি তৈরির শেষ সময়ে দিতে হবে। ইউরিয়া ২-৩ কিস্তিতে দিতে হয়, তবে প্রথম কিস্তি রোপণের ২০-২৫ দিনের মধ্যে দেওয়া দরকার।
সেচপানি কচুর গোড়ায় দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে এবং দাঁড়ানো পানি মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে হবে। লতিরাজ জাতের জন্য দাঁড়ানো পানির গভীরতা ৮-১০ সেন্টিমিটার হওয়া দরকার।
রোগপাতার উপর বেগুনি থেকে বাদামি রঙের গোলাকার দাগ পড়ে। পরবর্তীতে এ দাগ আকারে বেড়ে একত্রিত হয়ে যায় এবং পাতা ঝলসে যায়। পরে তা কচু ও কন্দে ছড়িয়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রা, আর্দ্র আবহাওয়া ও পরপর ৩-৪ দিন বৃষ্টি হলে এ রোগের মাত্রা খুব বেড়ে যায়। তাই রোগ দেখার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম রিডোমিল এমজেড-৭২ ডব্লিউ অথবা ডাইথেন এম ৪৫ মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার দিতে হবে। দেওয়ার আগে ট্রিকস মিশিয়ে নিতে হয়।
সংগ্রহচারা রোপণের ২ মাস পর থেকে ৭ মাস পর্যন্ত লতি হয়ে থাকে।
Advertisement
এসইউ/এমএস