জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তনে ১ কোটি ৩৩ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থী হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ স্থানীয়ভাবে জলবায়ু শরণার্থী হবে। বিশ্বব্যাংকের ‘প্রিপেয়ারিং ফর ইন্টারনাল ক্লাইমেট মাইগ্রেশন’শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ।

Advertisement

ওয়াশিংটন থেকে সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এশিয়ার শহরগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর যে দুটি শহরের জনসংখ্যা আনুপাতিকহারে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে সে দুটি শহর হলো ঢাকা এবং চট্টগ্রাম। খুলনাও খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না। যদিও বাংলাদেশের কিছু অংশ নদীবাহিত পলির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উঁচু হতে থাকবে, তবে এক-পঞ্চমাংশ অংশ তলিয়ে যাবে পানির নিচে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়ে প্রায় ২ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হতে পারে। জলবায়ু শরণার্থী হিসেবে এ বাস্তুহারা মানুষগুলো মূলত ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনার মতো বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে। এ ঘটনা প্রচণ্ড চাপ ফেলবে দেশের সরকারকে। গণহারে অভিবাসনের আশঙ্কা খুবই প্রবল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হিমালয়ের হিমবাহের বরফ ব্যাপকহারে গলবে। এর ফলে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ি হ্রদগুলো উপচে পড়বে। হিমালয়ের বরফ গলার কারণে বাংলাদেশে মৌসুমি বন্যা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে উত্তরাঞ্চল খরার কবলে পড়বে।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মাটির উর্বরতা হৃাস, ফসলি জমি ডুবে ও ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদনের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। একইসঙ্গে শিল্প-কারখানা ও বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে কমবে আবাদি জমি। প্রতিদিন দেশে প্রায় ৩২০ হেক্টর কৃষি জমি অকৃষি কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এসব কারণে দেশের ১৫ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার হুমকিতে পড়ছে।

ওআর/জেআইএম