অর্থনীতি

কৌশলগত বিনিয়োগকারী : ডিএসইর প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বিএসইসি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামকে নেয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

Advertisement

সোমবার কৌশলগত বিনিয়োগকারীর বিষয়ে কমিশনের ৬৩৫তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসইসির গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব পুঁজিবাজারের স্বার্থ পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে ডিএসইর পাঠানো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও কিছু শর্ত পরিপালন ও সংশোধিত প্রস্তাব দাখিল করার সুযোগ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- শেয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টে (এসপিএ) এমন কোনো শর্ত রাখা যাবে না, যা স্থানীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি ডিএসইর সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট উন্নয়নের বিরুদ্ধে না যায়। এমন কোনো প্রস্তাব রাখা চলবে না, যা পরিপালন করতে ডিএসইর বিদ্যমান মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন সংশোধন করতে হয়। এসপিএ-সহ কৌশলগত ইস্যু চূড়ান্ত করে কমিশনে জমা দেয়ার আগে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে। কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন ডিএসইর সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। ডিএসইর সাধারণ সভার সিদ্ধান্তপত্র, এসপিএ-সহ কনসোর্টিয়ামের অন্যান্য কাগজাদি নিয়ে কমিশনে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।

Advertisement

এদিকে ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের শর্ত অনুযায়ী, ব্লকড হিসেবে থাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৬০ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ (সংরক্ষিত শেয়ার থেকে) কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে এবং বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করতে হবে। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য বা ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান।

এসআই/এমএএস/জেডএ/আরআইপি