স্বামীর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে নেপাল থেকে লাশ হয়ে ফিরে এলেন তাহিরা তানভিন শশী রেজা। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে আনা হবে তার মরদেহ। স্থানীয় একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
Advertisement
কিন্তু এ শেষ যাত্রায় প্রিয়তমা স্ত্রীকে এক নজর দেখা তো দূরে থাক তার মৃত্যুর সংবাদটিও জানেন না স্বামী ডা. রেজায়ানুল হক শাওন। চিকিৎসকদের নির্দেশেই পরিবারের পক্ষ থেকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবরটি তাকে এখনও জানানো হয়নি।
গত ১৭ মার্চ সপ্তম বিবাহবার্ষিকী ছিল শশী-শাওন দম্পত্তির। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চেপে নেপাল যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা তাদের জীবনের সব কিছু এলোমেলো করে দিল। বেঁচে যাওয়া ডা. রেজায়ানুল হকের কাছে সত্যিই দিনটি থাকবে চির স্মরণীয় হয়ে।
সোমবার বিকেলে বিমান বাহিনীর কার্গো বিমানে করে দেশে আনা ২৩ বাংলাদেশির সঙ্গে শশী রেজার মরদেহও ছিল। আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও গ্রামের বাড়ি আনা হয়নি।
Advertisement
শশীর মামা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম পুলক জানান, রাতে সিএমএইচের হিমঘরে শশীর মরদেহ রাখা হবে। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ ঢাকা থেকে সোজা তার বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় আনা হবে। বাদ জোহর সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জানাজা। এরপর সেওতা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে শশীকে শেষ বারের মতো দেখতে এরই মধ্যে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন স্বজনরা।
মানিকগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. রেজা হাসানের একমাত্র সন্তান তাহিরা তানভিন শশী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি বিষয়ে মাস্টার্স করছিলেন। তার স্বামী ডা. রেজায়ানুল হক রংপুর মেডিকেল কলেজে কর্মরত। তার বাড়ি একই জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মোজ্জামেল হক।
ডা. শাওনের মামা আইনজীবী আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, শাওনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেপাল থেকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাকামুক্ত। তবে চিকিৎসকদের নির্দেশে তার স্ত্রী মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়নি। বলা হয়েছে অন্য একটি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
বি.এম খোরশেদ/আরএআর/পিআর