নেপালের কাঠমান্ডুতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত কবির হোসেনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়।
Advertisement
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে ফেরা আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে এখন পর্যন্ত কবিরসহ মোট সাতজনকে রাখা হয়েছে ঢামেকে। সেখানে ১৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
আহত অপর তিন বাংলাদেশির মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে সিঙ্গাপুর এবং একজনকে দিল্লীতে নেয়া হয়েছে।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিমান বন্দর থেকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছায়। এর আগে ইউএস-বাংলার তত্ত্বাবধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৭২ ফ্লাইট যোগে তাকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আনা হয়।
Advertisement
নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় তিনিসহ অন্যান্য আহত ও নিহত স্বজনদের বহনকারী ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি কাঠমান্ডু ত্যাগ করে। শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর তাকে সরাসরি ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এরপর আহত ছয় বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়। রোববার বিকেলে আহত শাহিন বেপারীকে দেশে ফিরেয়ে আনা হয়। এর আগে শেহরিন আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন্নাহার অ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত দেশে ফেরেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।
সাদ্দাম হোসাইন/এমএআর/আরআইপি
Advertisement