জাতীয়

নিহত স্বজনদের শ্রদ্ধা জানাতে আর্মি স্টেডিয়ামে মেহেদী

ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আর্মি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া মেহেদী হাসান।

Advertisement

গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজে ছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের দুই পরিবারের পাঁচ সদস্য। মেহেদী হাসান তাদেরই একজন। উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান মেহেদীর ফুফাত ভাই ফারুক আহমেদ প্রিয়ক এবং তার একমাত্র সন্তান প্রেয়সী (৩)। প্রাণে বেঁচে দেশে ফেরেন ফারুকের স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি (২৫) এবং মেহেদীর স্ত্রী কামরুন্নাহার স্বর্ণা।

গত শুক্রবার মৃতুঞ্জয়ী গাজীপুরের শ্রীপুরের মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানি দেশে ফেরেন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

ঢাকা মেডিকেলের অর্থোপেডিক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম জানান, মেহেদীর (২৯) হাঁটুতে আঘাত আছে কিন্তু হাড় ভাঙা নেই। আশা করছি দুই সপ্তাহ পর তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন।

Advertisement

সেই মেহেদী শরীরের সব যন্ত্রণা সহ্য করে হাজির হন আর্মি স্টেডিয়ামে। কয়েকজন বন্ধু ও স্বজনের হাত ধরে প্রিয় মানুষদের জানাজায় অংশ নিতে ছুটে আসেন। সেনা কর্মকর্তারা তার জন্য একটি চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মরদেহগুলোর জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতিরর পক্ষে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এরপর আহত ছয় বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়। রোববার বিকেলে আহত শাহিন বেপারীকে দেশে ফিরেয়ে আনা হয়। এর আগে শেহরিন আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন্নাহার এ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত দেশে ফেরেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।

Advertisement

এমইউ/এমএআর/আরআইপি