জাতীয়

২৩ মরদেহ ঢাকায়

দেশে পৌঁছেছে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

তিনি জানান, মরদেহবাহী বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মরদেহের কফিন গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতিরর পক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে  ওবায়দুল কাদের এবং স্পিকার শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

যাদের মরদেহ আনা হয়েছে- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

এখনও তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তাদের মরদেহ শনাক্তের পর দেশে আনা হবে।

Advertisement

বিমানবন্দর থেকে মরদেহের কফিনগুলো সরাসরি আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হবে। নিহতদের দেশে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। এর আগে নেপালে তাদের জানাজা হয়।

আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূর ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে সোমবার দুপুর দেড়টায় স্বজনদের নিয়ে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট কাঠমান্ডু থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। ফ্লাইটটি বিকেল ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এতে হতাহত যাত্রীর ৫১ স্বজন রয়েছেন। রয়েছেন দুই আহতও। তারা হলেন- কবীর হোসেন ও আব্দুল্লাহ (মালদ্বীপ)। গত ১২ মার্চ (সোমবার) বিমান দুর্ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার হতাহতদের স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে ইউএস-বাংলার একটি প্রতিনিধিদল নেপালে যান।

গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এরপর আহত ছয় বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়। রোববার বিকেলে আহত শাহিন বেপারীকে দেশে ফিরেয়ে আনা হয়। এর আগে শেহরিন আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন্নাহার অ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত দেশে ফেরেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।

এসআই/এএস/জেডএ/পিআর