মতামত

এ পরাজয়ে বেদনা আছে, গ্লানি নেই

ফাইনালের সকালে জাগো নিউজে লিখেছিলাম ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’। ধন্যবাদ টাইগারদের, আমার প্রত্যাশার ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। খেলায় হারজিত আছেই, তবে আমরা লড়াই করেছি সমানে সমানে। এ পরাজয়ে বেদনা আছে, গ্লানি নেই। এ পরাজয়ও গৌরবের। তবে সম্মানজনক পরাজয়, লড়াই করে হার- এ ধরনের কথা বলে বাংলাদেশের সান্ত্বনা পাওয়ার দিন ফুরিয়েছে অনেক আগেই।

Advertisement

ওয়ানডেতে আমরা প্রতিষ্ঠিত শক্তি অনেক দিন ধরেই। টেস্টেও বেশকিছু চমকে দেয়া পারফরম্যান্স আছে। কিন্তু টি-২০তে আমরা ঠিক নিজেদের মেলে ধরতে পারছিলাম না। নিদাহাস ট্রফি হয়ে থাকবে টি-২০তে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ এমন তিনটি ম্যাচ খেলেছে, যে তিনটি ম্যাচটি টি-২০ এর চিরন্তন বিজ্ঞাপন হয়ে থাকবে বহুদিন।

সেই তিন ম্যাচের দুটি বাংলাদেশ জিতেছে, হেরেছে একটি। তবে সেই একটিই যে ফাইনাল। আমাদের যে কখনো ফাইনাল জেতা হয়নি। তাই আফসোসটা এত বেশি, বেদনাটা এত তীব্র। আচ্ছা আপনারা যে মাত্র দুদিন আগে বাংলাদেশকে মাথায় তুলে নাচলেন, দুদিন পরই ছিঃ ছিঃ করছেন; নিদাহাস ট্রফিতে যাওয়ার আগে কি ভেবেছিলেন বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে?

এতদিন জেনে এসেছি, টেস্টে ম্যাচের রং পাল্টায় বারে বারে, সেশনে সেশনে। এখন বাংলাদেশ টি-২০কেও টেস্টের মর্যাদায় উন্নীত করেছে। তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশ টি-২০ এর মর্যাদাকে তুলে ধরেছে অন্য স্তরে। সেশনে সেশনে নয়, ম্যাচের রঙ পাল্টেছে ওভারে ওভারে।

Advertisement

ফাইনালের কথাই ভাবুন। শুরুতে বাংলাদেশের ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সবার ভাবনায় ১২০-৩০ আর শোচনীয় পরাজয়ের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল। সাব্বিরের অসাধারণ ৭৭ আর মিরাজের শেষ ওভারের ১৮ বাংলাদেশকে এনে দেয় ১৬৬ রানের ফাইটিং স্কোর। তারপরও ভারতের উড়ন্ত সূচনায় মনে হচ্ছিল ১৫ ওভারেই বুঝি ফুরিয়ে যাবে আশা।

বোলাররা বাঁচিয়ে রাখলেন তা। শেষ ৩ ওভারে ৩৫ থেকে যখন মুস্তাফিজ ১৭তম ওভারে মাত্র একটি লেগবাই দিলেন, বাংলাদেশ দুর্দান্তভাবে খেলায় ফিরে এলো। শেষ ২ ওভারে চাই ৩৪। আগের ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়া রুবেলের ওপরই ভরসা রাখলেন অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু দিনেশ কার্তিক যে হঠাৎ মাহমুদুল্লাহ হয়ে উঠবেন কে জানতো। ১৯তম ওভারে ২২ রানের পরও শেষ ওভারে চাই ১২। ৬ বলে ১২ রান।

একদম যেন অলিখিত সেমিফাইনাল হয়ে ওঠা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার গ্রুপ ম্যাচের শেষ ওভার। একটি চতুর্থ বলে চারসহ প্রথম চার বলে এলো ৭ রান। শেষ দুই বলে চাই ৫ রান। পঞ্চম বলে বিজয় শঙ্করের আউটই কাল হয়ে এলো বাংলাদেশের জন্য। স্ট্রাইকে চলে এলেন দানব হয়ে ওঠা দিনেশ কার্তিক। শেষ বলে দরকার ছিল ৫ রান, মেরে দিলেন ছক্কা।

খেলা যেমন ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টায়, সমর্থকদের মনও তেমন আকাশের মতো। দুদিন আগে শ্রীলঙ্কার ম্যাচে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যে সাকিব জাতির হিরো, দুদিনেই তার অধিনায়কত্ব নিয়ে হাজারো প্রশ্ন। জয় এসে ঢেকে দিয়েছে বলে নইলে প্রশ্ন উঠতে পারতো গ্রুপ ম্যাচ নিয়েই। কেন সাকিব নিজের দুই ওভার অব্যবহৃত রাখলেন, কেন নিয়মিত বোলার নাজমুলকে ব্যবহারই করলেন না, কেন ১৯তম ওভারের শেষ বলে মিরাজ অমন পরিমরি করে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে নিজে রান আউট হলেন, মাহমুদুল্লাহকে পুরো ৬ বল খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলেন- এমন অনেক প্রশ্ন করা যেতো।

Advertisement

ফাইনালে বরং প্রশ্ন অনেক কম। সেই অযৌক্তিক প্রশ্নগুলোই এখন বড় করে উঠছে। ১৭তম ওভারে কেন রুবেলকে আনা হলো? আরে ভাই যে বোলার আগের তিন ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নেয়, অধিনায়ক তার হাতে বল না দিলে কার হাতে দেবে? শেষ ওভারে কেন সৌম্য? নিয়মিত বোলার যেখানে ২২ রান দিয়েছে, সেখানে সৌম্য তো মাত্র ১২ রান দিয়েছে।

খারাপ তো নয়। সুতার ওপর হাঁটতে থাকা এমন ম্যাচে দক্ষতা নয়, ভাগ্যই নির্ধারক হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ হেরেছে বলে আপনারা রুবেলকে গাল দিচ্ছেন, ভারত হারলে তো তারা মিরাজকে গাল দিতো। মিরাজ যদি এক ওভারে ১৮ রান তুলতে পারে, দিনেশ কার্তিক এক ওভারে ২২ রান নিতে পারবে না? এসবই পার্ট অফ গেম। খেলাটাই এমন।

আপনি কখনো হারবেন, কখনো জিতবেন। তবে ভারতের বিপক্ষে বারবার ভাগ্য আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। বাংলাদেশ-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বীটা এখন এমন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে, ভারতের কাছে হারলে কষ্টটা অনেক বেশি হয়ে বুকে বাজে।

নিদাহাস ট্রফি পাইনি বটে। তবে এই টুর্নামেন্ট থেকে আমাদের প্রাপ্তিও কম নয়। অপ্রাপ্তির ক্ষতে প্রলেপ বোলাতে পারে এই প্রাপ্তিগুলো। হাথুরুর অপেশাদার প্রস্থানে হঠাৎ করেই পথ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাস ঠেকেছিল তলানিতে। এই টুর্নামেন্ট আমাদের সেই হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে। এ পাওয়াও কম নয়। আর বিশ্বকে তো জানিয়ে দেয়া গেল, বাংলাদেশকে আর হেলাফেলা করা যাবে না। মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন আমরা সমানে সমান। মাঠের বাইরে অন্যায়ের প্রতিবাদেও আমরা সোচ্চার। কোথাও আর কাউকে এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়া হবে না।

ক্রিকেটিয় প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বাইরে এই ফাইনাল আমাদের আরো কিছু গ্লানির মুখোমুখি করেছে। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেরই কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তির দেখা মিলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভারতের জয়ে বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যক্তির উল্লাস আমাদের লজ্জিত করেছে। আবার বাংলাদেশের কয়েকজন উগ্র সাম্প্রদায়িক মানুষ সৌম্য সরকারের হাতে শেষ ওভারের বল তুলে দেয়া এবং ভারতের জয়কে ক্রিকেটিয় বিবেচনার বাইরে সমালোচনা করছেন।

তারা সৌম্য সরকারের ধর্মীয় পরিচয় তুলে তার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সাম্প্রদায়িক এই মানুষগুলো ঘৃণারও অযোগ্য। সৌম্য আমার খুব প্রিয় ব্যাটসম্যান। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ যে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছিল, তার অগ্রসেনানীদের একজন এই সৌম্য। কিন্তু অনেকদিন ধরেই নিজেকে খুঁজে ফিরছেন সৌম্য। নিদাহাস ট্রফিটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। তার শেষ সুযোগ ছিল ফাইনালের শেষ ওভার, আরো নির্দিষ্ট করে বললে শেষ বল।

সৌম্য নিয়মিত বোলার নন। তবু সীমাহীন চাপের মুখে শেষ ওভারটা সামলেছেন ভালোভাবেই। শেষ বলটা তিনি কেন স্লোয়ার দিলেন না, কেন ইয়র্কার দিলেন না; এমন অনেক বিশেষজ্ঞ ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফেসবুকে। আরে ভাই আপনি টেলিভিশন সেটের সামনে বসে কী রকম চাপ অনুভব করেন, সেটার সঙ্গে একটু মিলিয়ে দেখুন মাঠের অন্তহীন চাপকে।

মানছি তারা পেশাদার খেলোয়াড়। তবুও তারা তো মানুষই, রোবট তো নয়। ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর সৌম্যের কান্নায় ভেঙ্গে পড়া ছুয়ে গেছে আমার হৃদয়। সৌম্যকে যারা ধর্ম দিয়ে বিবেচনা করে, তারা আমার করুণারও অযোগ্য।

২০০৭ সালে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে যাওয়া ভারতকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর থেকে বাংলাদেশের সামনে পড়লেই ভয়ে হাঁটু কাঁপা শুরু হয় ভারতীয়দের। ভয় তাড়াতে তারা নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে, হেয় করে বাংলাদেশকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাদের বানানো ‘মওকা, মওকা’ বিজ্ঞাপন সে আগুনে ঘি ঢেলেছে।

শুধু সামাজিক মাধ্যম নয়, গণমাধ্যমও ওঠে পড়ে লাগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু ভারতে বসে ভারতীয়দের এই লাফঝাঁপ এক কথা। আর বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশনে বসে তাদের এক কর্মকর্তার দিনের পর দিন বাংলাদেশ বিদ্বেষ ছড়ানো ভিন্ন কথা। রঞ্জন মন্ডল নামের এই কর্মকর্তা ডিপ্লোম্যাটিক দায়িত্ব পালনের চেয়ারে বসে সব ধরনের সভ্যতা ভব্যতার সীমা অতিক্রম করে দিনের পর দিন বাংলাদেশকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ-ভারতের খেলা থাকলেই তিনি ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দেন, যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ান। পরদিন সকালেই আবার সেই স্ট্যাটাস ডিলিট করে দেন। ভারতের নিশ্চয়ই রঞ্জন মন্ডলের মতো আরো অনেক বাংলাদেশবিদ্বেষী মানুষ আছে। কিন্তু সাধারণত নির্দিষ্ট দেশের প্রতি সহানুভূতি আছে, এমন ব্যক্তিকেই সেই দেশে পোস্টিং দেয়া হয়। তাহলে নয়াদিল্লী কোন বিবেচনায় রঞ্জন মন্ডলের মতো একজন কট্টর বাংলাদেশবিদ্বেষী মানুষকে বাংলাদেশে পাঠালো আমার মাথায় ঢোকে না।

ভারতে যেমন অনেক বাংলাদেশবিদ্বেষী মানুষ আছে, বাংলাদেশেও তেমনি অনেক ভারতবিদ্বেষী মানুষ আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিদ্বেষ, আর হাইকমিশনে বসে ডিপ্লোম্যাসির আড়ালে ঘৃণা ছড়ানো আরেক কথা। আর রঞ্জন মন্ডলের বিদ্বেষটা মানসিক অসুস্থতার পর্যায়ের। ২০১৬ সালে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রায় সবাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সমর্থন করায় রঞ্জন মন্ডল ফেসবুকে স্ট্যটাস দিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশের অনেকের মুশোখ উন্মোচিত হলো আজ। ভিসা নিতে এসে তারা গদগদ থাকেন। আর এখন সবাই ভারতবিরোধিতা করছেন।’ তার সেই স্ট্যাটাস দেখে অবিশ্বাসে আমি তাকে বলেছিলাম, কূটনীতির আসনে বসে এ ধরনের কথা না বলতে। তিনি ক্ষেপে গেলেন। আমাকে যাচ্ছে তাই গালিগালাজ করলেন। আরো বললেন, বাংলাদেশের মানুষ কেন ভারতে যায়। তারা বাংলাদেশের মানুষকে করুণা করে ভিসা দেন।

ভিসার জন্য বাংলাদেশিরা তার পায়ে ধরে পড়ে থাকে। ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি ক্রমাগত বাংলাদেশী সমর্থকদের পাগল, ছাগল, মূর্খ, অশিক্ষিত বলে গালি দিচ্ছিলেন। যথারীতি পরদিন সকালে তিনি তার সেই বিদ্বেষমূলক স্ট্যাটাস ডিলিট করে দেন এবং আমাকেও ব্লক করে দেন। তাই তার সেই ঘৃণা ছড়ানোর কোনো প্রমাণ ছিল না।

আমি বিস্ময়ের সঙ্গে দেখেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এমন বিদ্বেষ ছড়ালেও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কারো কারো আনুকূল্য পেয়ে যাচ্ছেন। সহজে ভিসা পাওয়া, হাইকমিশনের পার্টিতে নিমন্ত্রণ বা ভারত সফরের সুযোগের লোভে আমাদের সাংবাদিকদের কেউ কেউ মানসিকভাবে অসুস্থ এই ব্যক্তিটিকে তোয়াজ করেন। কিন্তু সময় এসেছে, তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানোর।

রঞ্জন মন্ডল আবার তার কুৎসিৎ চেহারা দেখালেন নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের রাতে। একের পর এক বিদ্বেষমূলক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার এক স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কোনালের সাথে আলাপচারিতায় তিনি বাংলাদেশকে সম্পর্কে এমন শব্দ উচ্চারণ করেছেন, যা ছাপার অযোগ্য। রঞ্জন মন্ডল আবারও তার সভ্যতা-ভব্যতা, কূটনৈতিক শিষ্টাচারের সমস্ত সীমা অনেক আগেই লঙ্ঘন করেছেন। আবারও তার প্রমাণ রাখলেন মাত্র। আমার শঙ্কা রঞ্জন মন্ডলের উপস্থিতি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও প্রভাব ফেলবে।

একজন ভারতীয় ভারতকে সমর্থন করবেন, একজন বাংলাদেশী বাংলাদেশকে সমর্থন করবেন; এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিজ দেশকে সমর্থন করা আর আরেক দেশ সম্পর্কে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো আরেক কথা। বাংলাদেশকে কেউ ‘কাংলাদেশ’ লিখলে যেমন আমার গভীর বেদনা হয়; ইন্ডিয়াকে ‘রেন্ডিয়া’ লিখলে নিশ্চয়ই ভারতীয়দেরও খারাপ লাগে। আমি নিজে কখনো ‘রেন্ডিয়া’ লিখি না, এমনকি ‘ফাকিস্তান’ও লিখি না। আমি আমার দেশকে ভালোবাসবো। এবং সঙ্গে সম্মান জানাবো অন্য দেশের মানুষের আবেগকেও। আমি তর্ক করবো যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে; গালি দিয়ে নয়। যারা সৌম্যকে ধর্মীয় বিবেচনায় গালি দেয়; তাদের জন্য ঘৃণা। যারা কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদ্বেষ ছড়ায়, তাদের জন্য করুণা।

মনে রাখতে হবে খেলা খেলাই। খেলাধুলা মানুষের জীবনকে আনন্দময় করার জন্য; ঘৃণা ছড়ানোর জন্য নয়।

১৯ মার্চ, ২০১৮

এইচআর/পিআর