খেলাধুলা

নিদাহাস ট্রফি সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার পথে বড় পদক্ষেপ : মুশফিক

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর ঘরের মাঠেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের পর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হেরে যায় টাইগাররা। তবে ওই দুই সিরিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে নিদাহাস ট্রফিকে বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম।

Advertisement

আবারও স্বপ্নপূরণের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অধরা ট্রফিটা হাতের নাগালেই চলে এসেছিল। শেষ রক্ষা হয়নি। ছয় মেরে ঠিকই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। ম্যাচ শেষে হতাশায় ডুবে ছিল পুরো বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কান ‍‌এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১১.৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ দলের পক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মুশফিক বলেন, ‘আমার মনে হয় না, আমাদেরকে খুব খারাপ ভাবে করার কিছু আছে। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও ঘরে শেষ সিরিজে ভালো খেলতে পারিনি। তাই ওই ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসার পথে এই সিরিজটা বড় একটা পদক্ষেপ। এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা ভালো খেলেছি। তাই এ হার থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

নিদাহাস ট্রফিতে প্রথম ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি চারটি ম্যাচেই দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে লড়াই করে হারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তুলে নেয় দুর্দান্ত জয়। ফাইনালে শেষ বলের নাটকে শিরোপা বঞ্চিত হয় সাকিব বাহিনীর। নিজেদের পারফরমেন্স নিয়ে মুশফিক আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ ছাড়া বাকি সবগুলো ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে আমরা ভালো খেলেছি। টি-টোয়েন্টিতে আমরা কোন সময়ই ভালো খেলিনা। তবে এবার অনেকদিন পর চার ম্যাচের দুটিতে জিতেছি আর দুই ম্যাচে জিততে না পারলেও ভালো খেলছি। আমার মনে এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট উপহার দিয়েছি।’

স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতকে নিয়ে ত্রিদেশীয় এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কাকে দুবারই হারায় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ২১৫ রান তাড়া করে টাইগারদের জয় এনে দেন মুশফিক আর অলিখিত সেমিতে বাংলাদেশকে দারুণ আরেকটি জয় উপহার দেন মাহমুদউল্লাহ।

Advertisement

বোলারদের পারফরমেন্স নিয়ে উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান আরও বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। তবে আমার কাছে বোলারদের দুইটি বিষয়ে ঘাটতি মনে হয়েছে। এক, প্রথম ছয় ওভারে উইকেট নেয়ার ক্ষমতা আমাদের বাড়াতে। যাতে প্রতিপক্ষকে শুরু থেকেই চাপে ফেলা যায়। আর ডেথ ওভারে আরও ভালো বোলিং করতে হবে। যাতে রানের লাগাম টেনে ধরা যায়।’

এদিকে টি-টোয়েন্টিতে আগের সাত দেখায় ভারতের বিপক্ষে না পাওয়া জয়ের স্বাদ পেতে এবার মরিয়া ছিল টাইগাররা। অষ্টমবারে এসে সে সম্ভাবনাও জেগেছিল। সঙ্গে নিধাস ট্রফি ঘরে তুলে তিন বা ততোধিক দেশের লড়াই জমা সিরিজে প্রথমবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সুযোগও। শেষ পর্যন্ত আক্ষেপই হল সঙ্গী। খুব কাছে এসে খুব দূরে ফেলে আসার আক্ষেপ।

এ নিয়ে মুশফিক আরও বলেন, ‘ভারতকে হারানোর এমন সুযোগ সব সময় আসে না। ব্যাঙ্গালুরুর পর এবার আমরা আবারও এই সুযোগ হাতছাড়া করলাম। তবে সামনে এ হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যাতে এমন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’

এআরবি/এমআর/জেআইএম

Advertisement