খেলাধুলা

কেঁদে লাভ নেই : সাকিব

শেষ বলে প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। তবে ছয় মেরে অবিস্মরণীয় এক জয় বাংলাদেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন দীনেশ কার্তিক। আর তাতে পিচে মুখ লুকিয়ে কাঁদলেন সৌম্য, কাঁদালেন গোটা দেশকে, হতাশায় ডুবে ছিলেন দলের অন্যরাও। তবে আবেগের প্রকাশটা আড়ালেই রাখেন সাকিব। সংবাদ সম্মেলনে জানালেন কেঁদে লাভ নেই। এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।

Advertisement

আবারও স্বপ্নপূরণের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অধরা ট্রফিটা হাতের নাগালেই চলে এসেছিল। শেষ রক্ষা হয়নি। ছয় মেরে ঠিকই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। ম্যাচ শেষে হতাশায় ডুবে ছিল পুরো বাংলাদেশ দল। তবে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব হতাশায় পুড়লেন না। এরই মধ্যে খুঁজে নিয়েছেন ইতিবাচকতা।

বললেন, ‘কেঁদে লাভ আছে? আবেগ আছে, থাকতে পারে। কিন্তু আসলে কিছু আর করার নেই। হয়তো শিখতে পারি। সুযোগ পেলে সামনে হয়তো আবারও চেষ্টা করতে পারি। শেষ কয়েক বছরে আমরা বেশ কটি ফাইনাল হারলাম। এর বেশিরভাগই ক্লোজ ছিল। সবচেয়ে ক্লোজ হয়তো এশিয়া কাপেরটা (২০১২ সালে) ছিল, এটা হয়তো আরও ক্লোজ হলো। এরপরও এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।’

গত ৯ বছরে এই নিয়ে ৫টি ফাইনাল হারল বাংলাদেশ। চারটিতেই বাংলাদেশে হেরেছে কাছে গিয়ে। সবচেয়ে যন্ত্রণার হার ছিল হয়ত ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের হার। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ফাইনালে পাকিস্তানিদের ২৩৬ রানে বেঁধে ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল মুশফিক বাহিনী; কিন্তু শেষ ওভারে গিয়ে হতাশায় ডুবতে হয় আবারও। ৩ উইকেট হাতে রেখে ৬ বলে ৯ রান করতে না পেরে হেরে যায় মুশফিকের দল।

Advertisement

তাই সাকিবের কাছে প্রশ্ন রাখা হল স্নায়ুর চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে। তবে সাকিব তাতে খুব একটা একমত হলেন না। বরং ভাগ্যকে দোষ দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এটা কি স্নায়ু চাপ নাকি ভাগ্য, সেটা বলা মুশকিল। ধরেন, এক ওভারে ৯ রান দরকার ছিল (২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে), কিন্তু হয়নি। আবার আজকে শেষ বলে ৫ রান, বেশিরভাগ সময়ই করা যায় না। শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই বোলিং দলের জেতার কথা। স্রেফ হয়নি আজ। এটাকে আমি স্নায়ুর চাপ বলব না। ভাগ্যও ছিল না পক্ষে।’

এমআর/জেআইএম