দেশজুড়ে

ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চের রোটেশন বন্ধের নির্দেশ

ঢাকা-ভোলা রুটে লঞ্চের রোটেশন প্রথাকে অবৈধ ও নিয়ম বহিভূত উল্লেখ করে রুট পারমিট অনুযায়ী প্রতিদিন এক ঘাট থেকে চারটি করে উভয় পাড় ঘাট থেকে আটটি লঞ্চ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুশীল সমাজসহ সাধারণ যাত্রীরা এ রায় দ্রত কার্যকর করার দাবি জানান।

Advertisement

রোববার ভোলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। সচেতন যাত্রী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে গত প্রায় চার মাস আগে ব্যবসায়ী রুহুল আমিন কুট্টির ভোলা-ঢাকা রুটে রুটেশন প্রথা বন্ধের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ, লঞ্চ মালিকদের রোটেশন প্রথা বন্ধের দাবিতে জেলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মানববন্ধনসহ আন্দোলন করে আসছিল।

মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম মোর্শেদ কিরণ জানান, মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ থেকে প্রতিদিন আটটি লঞ্চকে চলাচলের জন্য রুট পারমিট দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রতিদিন চারটি লঞ্চ ভোলা জেলা সদরের নদী বন্দর (খেয়াঘাট) টার্মিনাল থেকে ও অপর চারটি লঞ্চ ঢাকা জেলার সদর ঘাট টার্মিনাল থেকে ছাড়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু লঞ্চের মালিক পক্ষ এক জোট হয়ে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় প্রতিদিন এক টার্মিনাল থেকে দুটি করে চারটি লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করছেন। এতে প্রতিদিন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লঞ্চের কেবিনের জন্য ৭ দিন আগে বুকিং দিতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেবিন ও সিট পাচ্ছে না। সাধারণ যাত্রীরা লঞ্চ মালিক পক্ষের কাছে জিন্মি হয়ে পড়েন। এসব কথা বিবেচনা করে আদালত প্রথমে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। বাদীর আবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনানির পর আদালত রোটেশন প্রথা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি নাসিম জানান, ঢাকা-ভোলা রুটে প্রতিদিন চলাচলের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে এ সব লঞ্চ হচ্ছে, বাদ্রার্স নেভিগেশন লিমিটেডের এমভি কর্ণফুলী-৪, এমভি কর্ণফুলী-৯, এমভি কর্ণফুলী-১০, এমভি কর্ণফুলী-১১ , এ রহমান অ্যান্ড সন্স কোম্পানির এমভি ভোলা ও এমভি ক্রিস্টাল ক্র্যজ, খান ওয়াটার ওয়েব কোম্পানির এমভি শ্রীনগর-৭। এ ছাড়া রয়েছে এমভি বালিয়া।

এদিকে আদালতের এ রায় ও আদেশের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ভোলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও চেতন যাত্রী নাগরিক পরিষদের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এ রায়ে জনতার বিজয় হয়েছে। সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়ার বিজয় হয়েছে। এ রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

আদিল হোসেন তপু/জেএইচ

     

Advertisement