বাংলাদেশের জয় যেন পুরোপুরি হাতের মুঠোয়। ১৮তম ওভারে যে মাত্র ১ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কার্টার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান! ওই এক ওভারেই যেন বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কে জানে, এরপরও নিয়তি অনেক কিছু লিখে রেখেছিল!
Advertisement
শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। জয় তো বাংলাদেশের হাতের নাগালেই; কিন্তু রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভারে একাই দিনেশ কার্তিক নিলেন ২২ রান। দুটি ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ডাবল। তার এই এক ওভারেই হেরে বসেছিল বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে তবুও প্রয়োজন ছিল ১২ রান। বোলার সৌম্য সরকার। প্রথম বলই দিলেন ওয়াইড। পরের বলে কোনো রান নিতে পারলেন না বিজয় শঙ্কর। দ্বিতীয় বলে নিলেন ১ রান। দিনেশ কার্তিক স্ট্রাইকে এসে ১ রান নিলেন। চতুর্থ বলে শঙ্কর মারলেন বাউন্ডারি।
পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে হলেন আউট। শেষ বলে দিনেশ কার্তিক গেলে স্ট্রাইকে। ১ বলে প্রয়োজন ৫ রান। সৌম্য সরকারকে ছক্কা মেরে বিজয় উদযাপন করলেন তিনি। নেচে উঠলো ভারতের ড্রেসিং রূম। নাচলো শ্রীলঙ্কার গ্যালারিও। এদিন যে, শ্রীলঙ্কার গ্যালারি হয়ে উঠেছিল ভারতের সমর্থক!
Advertisement
২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রায় একই পরিস্থিতিতে রুবেলের শেষ দুই ওভারে দেয়া ৩৩ রানে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের। কাতালীয়ভাবে সেটাও ছিল তিন জাতি টুর্নামেন্ট। তবে পার্থক্য একটাই; নয় বছর আগের ম্যাচটি ছিল ৫০ ওভারের ম্যাচে আসর। আর এটা টি টোয়েন্টি আসরের ফাইনাল।
ওই ম্যাচে হাতে ২ উইকেট থাকা অবস্থায় শেষ ৩০ বলে ৩৫ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। মনে হচ্ছিল জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ; কিন্তু ৪৬ নম্বর ওভারে পেসার রুবেল হোসেন ২০ রান দিয়ে বসলে জয়ের পথ থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা। এবার আবারও খলনায়কে পরিণত হলেন এই টাইগার পেসার।
অথচ, ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওভারে রুবেল জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে তুলেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে।
আইএইচএস/জেএইচ
Advertisement