সাব্বির রহমান যেভাবে খুনে হয়ে উঠেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের রান নিশ্চিত ১৭৫ থেকে ১৮০-তে গিয়ে ঠেকবে। কিন্তু ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জয়দেব উনাদকটের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন সাব্বির। ৫০ বলে অবসান ঘটলো ৭৭ রানের ইনিংসটির। এরপর মাঠে নেমে এক বল ঠেকানোর পর বোল্ড হয়ে গেলেন মিডল স্ট্যাম্প। পরের তিন বলে কোনো রানই নিতে পারলেন না মোস্তাফিজুর রহমান। অর্থাৎ ১৯তম ওভারে এলো মাত্র ৩ রান। বাংলাদেশ যেন এই এক ওভারেই পড়ে গেলেন ভারতের পেছনে।
Advertisement
যদিও উনাদকটের শেষ বলে এক রান নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মোস্তাফিজ; কিন্তু নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মিরাজ তাকে থামিয়ে দিলেন। রান নিলেন না। শেষ ওভারে মিরাজই থাকলেন স্ট্রাকিং প্রান্তে। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান যখন নেই, তখনই মিরাজই সবচেয়ে বড় ভরসা।
১৯তম ওভারের ঘাটতিটা যেন পুষিয়ে নেয়ার ভার নিজের একার কাঁধেই নিলেন মিরাজ। শার্দুল ঠাকুরকে প্রথম বলেই স্কুপ করে আছড়ে ফেললেন বাউন্ডারিতে। এক-দুই ড্রপ খেয়ে সোজা চলে গেল বাউন্ডারির বাইরে। চার রান। পরের বলে বুক সমান ফুলটস দিলেন শার্দুল ঠাকুর। ডাউন দ্য উইকেটে এগিয়ে এসে মাঝ ব্যাটে চালালেন মিরাজ। বল সোজা উড়ে গেলো বাউন্ডারির বাইরে। ছক্কা। দুই বলে নিয়ে নিলেন তিনি ১০ রান।
পরের বলে কোনো রানই করতে পারলেন না মিরাজ। ডট বল। চতুর্থ বলে মারলেন আরও একটি বাউন্ডারি। এবার থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে। শেষ দুই বলে মিরাজ নিলেন ২ রান করে, ৪ রান। শেষ ওভারে একাই মিরাজ নিয়ে নিলেন ১৮ রান। এ যেন ১৯তম ওভারে রান তুলতে না পারার ক্ষোভই তুলতে পারা। ৭ বল মোকাবেলা করে মিরাজের সংগ্রহ দাঁড়ালো ১৯ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহও গিয়ে দাঁড়ালো ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬-তে। নিঃসন্দেহে একটা ফাইটিং স্কোর।
Advertisement
আইএইচএস/আরআইপি