সাভার বিকেএসপির তিন নাম্বার মাঠে দারুণ এক ম্যাচ উপহার দিলো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে একেবারে শেষ বলে এসে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে তারা হারিয়েছে ২ উইকেটে।
Advertisement
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করা প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে অলআউট হয়ে যায় ২৬১ রানে। দলের পক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আল আমিনকে। মাত্র ৬ রানের জন্য যে সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি তার।
৯৬ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৯৪ রান করে আল আমিন আউট হলেও দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয়ার পেছনে বড় অবদান তারই। বাকিদের কেউ ফিফটিও করতে পারেননি। মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৩৭ আর নাহিদুল ইসলাম করেন ২৮ রান।
খেলাঘরের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ সাদ্দাম। তানভীর ইসলাম ৩টি এবং রবিউল ইসলাম রবি নেন ২টি উইকেট।
Advertisement
জবাবে অমিত মজুমদার আর আল মেনারিয়ার হাফসেঞ্চুরির পরও জয় পেতে ঘাম ঝড়েছে খেলাঘরের। একটা সময় ৪ উইকেটেই ২১০ রান তুলে ফেলেছিল দলটি। এরপরই ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি করেন প্রাইম ব্যাংকের ১৬ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। দ্রুত ৩টি উইকেট তুলে নিয়ে খেলাঘরকে কোনঠাসা করে ফেলেন তিনি। এর মধ্যে সাদ্দাম হোসেনও রানআউট হয়ে গেলে ২৫১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।
শেষ ৪ বলে খেলাঘরের দরকার ছিল ১১ রান, হাতে মাত্র ২ উইকেট। কঠিন সে পরিস্থিতি দারুণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সামলেছেন আট নাম্বারে নামা মাসুম খান। ২৩ বলে হার না মানা ৩৬ রানে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটসম্যান, যে ইনিংসে ছিল ২টি চার আর ১টি ছক্কা।
প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ৪০ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
এমএমআর/পিআর
Advertisement